বিরহে তোমার পদতলে দলি হিমালয় করিব চূর্ণ।
তুমি হীনা হৃদয় মন্দির মোর লাগে যে দেবতা শূন্য।
তুমি হীনা সপ্ত নরক অনলে হৃদয় পুড়ে,
না পাইলে তোমায় ধরনীটারে শূন্যে ফেলিব ছুড়ে।
বিহনে তোমার এ জীবন মোর মরুময় করে ধু ধু।
তোমারে যপিয়া কৈলাসে মম তপ করিয়াছি শুধু।
তুমি হীনা হৃদয় অঙ্গন মোর করে শুধু হাহাকার,
তব বিরহ যাতনায় স্বর্গ-মর্ত্য করিতে পারি একাকার।
বিরহে মম অধর বাহিয়া গলিয়া পরে সিন্ধু জল,
সেই জলে ওগো জিবরাঈলও খুঁজিয়া ফিরিবে তল।
বিরহে তোমার ক্ষ্যাপা দুর্বাসা করিবো ছাড়খাড় তিনকূল।
মম ক্রোধের তাড় নে কাঁপিয়া উঠিবে শিব-শম্ভুর ত্রিশূল।
খোদার আরশের রশনী যেরুপ ধ্বংস করিলো পাহাড় তুর,
তব বিরহের হলাহল মোরে সেরুপে করিছে ভগ্ন-চূর।
রাবণ যেরুপ লঙ্কা সমেত পুড়িয়া মরিলো অহংকারে,
তব বিরহে ধরনী সেরুপ ধ্বংস করিব এক হুংকারে।
বাসনায় তোমারি নটরাজ হইয়া করিব তাণ্ডব নৃত্য।
বিয়োগে তোমারি ইশরাফিল হইয়া দিবো মুরলী তে ফুৎকৃত্য।