ডায়েরির শেষ পাতা
আহসান খয়ের

নিশুতি রাতে কে যেন কারে ডাকে,
কারে ডাকে?
কে যেন কার ছবি আকাশে আঁকে।
কে যেন চিৎকার করে কাঁদে বারবার
কে যেন মুখ চেপে করে হাহাকার।
কে যেন, কে যেন।
সকল রঙিন ছবিগুলো অন্ধকারে তলিয়ে গেছে।
স্তব্দ রাত। ডায়েরির পাতাগুলো ঝাপসা দেখা যায়,
নেই তাতে আর ভালোবাসার রং।
তবু কেন পাতাগুলো কাছে টানে?
সুখ দুখ কি আছে কে জানে।
পাতাগুলো কেন যে বুকে লেপ্টায়,
পাতাগুলো কেন যে পড়ি মন চায়।
কেন যেন এখানে সুখ পেতে চায়।
অভাগার কপালে যে সুখ নেই, তবে কি এ চাওয়া নিঃস্ব হবার?
ও আকাশ তুমি শুনেছো কি আমার হাহাকার?
দেখেছো কি আমার অন্ধকারে পুড়ে যাওয়া?
তুমি কি পড়বে ডায়েরির শেষ পাতা?
আকাশ আমায় করুণ সুরে বলে,
আয় অভাগা আমার কাছে চলে।
তোমার মতো দুখী যারা আছে,
জায়গা দিবো আমার বুকের কাছে।
দেখতে কি পাও? আছে দলে দলে,
ওই দেখো সব তারা হয়ে জ্বলে।
ওই মনোবিদ আকাশের শান্তনার বানী শরির ছুঁলেও মন ছুঁইতে পারেনি।
আমি জ্বলতে চাইনা,
আমি গভীরে যেতে চাই।
ডুবেছি যখন, তখন তলিয়ে যাওয়াটাই আমার মঙ্গল।
আমিও আকাশকে বলে দিলাম-
ওগো আকাশ শান্ত কি চাও মোরে?
চোখের পানি পাঠাও তাহার দোরে।
শান্ত এ মন কষ্ট পেলে নড়ে,
ওই যে দেখো চোখটা দিয়ে পড়ে।
এই পানিটা মেঘ বানিয়ে নাও,
বৃষ্টি করে পাষাণ হৃদয় ভিজাও।
ভালোবাসি তাই আজ দোলাচল,
এটাই দোষ? বল না আকাশ বল।
আমায় যদি আরও শান্ত চাও,
তবে তোমার বুকের মাঝে ডুবাও।
আমায় যেন কেউ দেখেনা, কেউ না,
আমায় যেন কেউ খুঁজেনা, কেউ না।
খুঁজার মতো কেউ রবে না, কেউ না,
খুঁজার মতো কেউ হবেনা, কেউ না।
প্রকৃতি যদিও রঙিন
তাঁর বিধান বড় কঠিন।
হয়তো কেউ বলবে দুর্ঘটনা-
তুমি বলবে আত্মহত্যা-
আমি জানি হত্যা।
ডায়েরির শেষ পাতায় আমায় হত্যার বিচার হবে।