আমি চাইনা পেনের শোণিত কালি, গদ্য-পদ্যের শানিত চরণ;
তপ্ত স্লোগানে অগ্নি-মিছিল, রাজপথের ঐ দৃপ্ত চরণ।
দেখ্‌ দেখ্‌ চেয়ে ফিকে হয়ে যায় নিশানের ঐ রুধির বৃত্ত,
কোথা তুমি আজ রুদ্র ভগবান, দেখাও তব প্রলয়-নৃত্য।
মাজার ধসিয়া জাগিয়া উঠ সপ্তবীর ঘুম-পদ-ঠেলে;
তোমার রক্ত করিছে পান, সেই পরাজিত কুক্কুর-শৃগালে।
সেই মীর-জাফর ঘুরেফিরে দেখো আজও পদ্মা-যমুনার কূলে;
ভৃগু হয়ে মার লাথি বুকে যবে না শয়তান যায় রে চলে।
রাক্ষসী, ওরা ছদ্মবেশী পান করিতে চায় অমৃত-সুধা,
সুদর্শন-চক্রে ছিন্ন কর রাহুমস্তক, চূর্ণ কর- আন ভীম গোদা।
স্তূপে-স্তূপে ফুলিয়া উঠিছে, পাপ ছুঁয়েছে আরসে-আজীম,
মিকাইল থাম্‌; এবার ইস্রাফিল ফুকো তোমার প্রলয়-শিঙ।
কাক-শকুনি যবে পাখা মেলিবে
তমসা-সম দিনমান রবে
রবি-কিরণ ধরা লোভিবে না।
চন্দ্র-কিরণ অধোরাই রবে-
তারা বিহীন নাবিক পথ ভুলে যাবে,
শৃঙ্খলে পদযুগল চলিবে না।
লোহিতসাগর ডুব দিয়ে কি আনিলে এই মুক্ত গো
মুক্ত বাতাস দাও!দাও! মোরে, যদি লাগে নাও আরো রক্ত গো!
হায়না টানিছে মায়ের ঘোমটা ,
ছি: ছি: শয়তান নাচিছে খেমটা ,
বুকে ব্যথা,যেন যায় জানটা-
মরি মরি হায় লাজে গো-
মর্সিয়া নয়, বুকে দ্রুম দ্রুম প্রলয়-শাখ্‌ আজ বাজে গো।
তর্জনী আজ শৃগালের মুখে
শোর উঠেছে অসুর-লোকে
দেখ্‌ শয়তান অগ্নি ফুঁকে
দাহ্‌ করিতে স্বর্গ-কানন
ইন্দ্র এবার বজ্র হানো নাশিতে ঐ দশানন।
দিনমান-রবি ডুবে যায় যায়, আর কী তবে সংশয়
নগ্ন-কৃপাণে, বিজয় সোপানে আব তবে চলা যায়।
তাং- ২৩-০৭-২০২৪ খ্রি.
মধ্য আশরতপুর, রংপুর।