কবিতা,
গভীর রাতে ঝলসে যাওয়া নি:সঙ্গ চাঁদের সাথে সে আমার পূর্ণতা।
যা আমি বলতে পারিনা এই শব্দহীন রাতে- তা সে শুনতে পায়।
যে অব্যক্ত কথা মনের গহীনে হু হুঁ করে ওঠে- তা সে লেখে খাতায়।
সে আমার মান-অভিমান, ক্রোধ-আহ্লাদ, জেদ, বাধ ভাঙা উল্লাস।
সে আমার আবেগের প্রয়োল্লাস।

কবিতা,
সে বোঝে মানুষের চাওয়া-পাওয়া, জানেনা মানুষের পেশা, বিশ্বাসে কত ভিন্নতা।
ক্লান্ত -শ্রান্ত শরীরে যখন আমি হাপিয়ে উঠি এই পৃথিবীর বাতাসে,
এই গহীন তিমিরে সে শেফালী ফুলের আবেশ হয়ে আসে।
সে আমার কোন মত অবিশ্বাস করেনা,তার বিশ্বাসে সরলতা,
সবার বক্রদৃষ্টি উপেক্ষা করে - মুখোমুখি আমার কবিতা।

কবিতা,
একজন সংবাদ পাঠিকার মত শোনায় তার বারতা।
আমার গোমড়া মুখ দেখে সে অভিমান করে,
ছন্দে ছন্দে, অর্থহীন বাক্যে- হৃদয়ে তীর ছুড়ে।
যখন নদীর কলকল ধ্বনিতে মন আকুল হয়-
সে চর্যাপদে লুকানো মানুষের ইতিহাস শোনায়।

কবিতা-
যাকে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি যে কোন কথা।
সে আমার চোখের গভীরে লুকানো শব্দ পড়তে পারে,
এই গভীর নিস্তব্ধ রাতে আমার ছড়ানো অনুভূতি সে অনুভব করে।
উপমা বিহীন কোন প্রসংশায় সে কটাক্ষ করেনা।
আশাহীন, বিধ্বস্ত মনে- আমার কবিতা আমার প্রেরণা।

কবিতা-
সে সততা পছন্দ করে, সে পছন্দ করে মুগ্ধতা।
সে আমার অজ্ঞতায় উপহাস করেনা,
আমার জ্ঞানের বিকাশে সে হিংসা করেনা।
তার উন্মুক্ত আকাশে আমায় সীমাবদ্ধ করেনা, বাধেনা,
সে ধূমকেতুর মত উড়তে দিয়ে কৃতজ্ঞতায় বেধে করে প্রবঞ্চনা।

কবিতা-
আমি ভীত, আমি আড়ষ্ট, আমার চারিদিক শঠতা।
তোমার কোমল পরশে আমি শান্তি খুঁজি-
ঝলসানো চাঁদনী রাতে তোমার আলিঙ্গনে ক্লান্ত আঁখি বুজি।
ছন্দহীন পদ্য সাজাই তোমার বুকের খাতায় লিখবো বলে-
তোমার হৃদয় জমিনে করবো নিবাস ছলে-কৌশলে।

কবিতা-
সে বলে- একসময় ঝোপঝাড়ের অন্ধকারে আলো দিতো জোনাই  পোকা।
আমার চোখ তার দু'ঠোটের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে-
তার কাব্যিক ছন্দময় বচন বস করে আমাকে।
সে আমায় ছন্দে ছন্দে শোনায় ভবিষ্যৎ, গল্প, ইতিহাস -
সে অবাক হয় - " মানুষে মানুষে স্বতন্ত্র বিশ্বাস! "।



তাং ১০-১২-২০২৪ খ্রি
সবুজ বাগ, সদর, রংপুর।