কে ভিখারি হে তুমি ভিখ মাগিছ দ্বারে,
কী করুন বদনে, এই ঝঞ্ঝা-ঝরে।
হোথা কেন? দাঁড়াও হেথায় এ দেব ঘরে,
খোল আগল, যাহা রুদ্ধ ছিল ডরে।
প্রভু মোর সবার, সবাই মোর প্রভুর সুশীতল ছায়াতল,
পান কর, খাও এ অমৃত প্রসাদ, বসুধা-বিরল।
জীবে প্রেম, প্রেমেই জীবন; তাই প্রেম করি দান,
প্রেমের কাঙাল হও ; বলে ঈশ্বর - ভগবান।
কে তুমি? কী চাও? কী লুকায়িত গহীন-গহ্বরে!
ছল-ছল আঁখি রাখিয়াছ ছলনায় ভরে।
কালো রাতি,কালো মেঘে প্রভাকরী
চাবুকে করিছে শাসন, রোস ভিখারি -
রুদ্ধ কালসাপ, কাল কাল-খাঁচায়,
তব ভয় কী ভিখারি করুণা যাচ্ঞায়?
কোন মায়াবী, কোন বিনাশ, কোন অসুর মানবের বেশে?
সম্মুখে হে ভিখারি কোন অবিলাষে?
তব কালসাপ বন্দনা-স্তুতির জহর-
বর্ষাবান সম প্রবিশে কর্ণকুহর।
কহিল ভিখারি- বন্দনা মোর কর গ্রহণ,
নয় অসুর, নয় সে শনির বক্র দর্শন,
নয় পরশুরামের কুঠার, অগ্নি স্তুপ নমরুদের,
নয় সে কঠোর চাবুক মরুসুর্য ওমরের।
অভিশাপ! অভিশাপ! প্রভু, অভিশাপ!
ফণীকুলে জন্ম হেতু পুষ্পের পাপ?
এই দেবতার ঘরে আজি প্রেম ভিখ মাগি,
ন্যায় দাতা ন্যায় কর ন্যায়ের লাগি।
মহাদেব গ্রীবায় সওয়ারী বাসুকি উরঙ্গম,
প্রভু মোর লও বন্দনা,লও প্রণাম।
খাঁচা খোল, মুক্ত কর এই নাগে,
দেবতার দ্বারে ভিখারি এই ভিখ মাগে।

ব্যথায় নীল, আশীবিষের দংশনে?
অমৃত নয়, মূঢ়তা-উদধী মন্থনে
জোটে হলাহল বিষ; স্মৃতি বিস্মরণে-
কী করুণ চাহনি, আজ ব্যর্থ অবসানে?
ভুলিয়াছ কী জিনের সেই দৃঢ়-পণ,
তব আদি মাতা যার প্রলোভন
বরিল পূজনীয় অর্ঘ্য রুপে-
সাপে শাপে!সাপে শাপে!
কালসাপ পুণ:পুন: আসিয়াছে ধরায়,
রাহু কেতু,ইবনে উবাইয়ের মায়ায়।
সাধু, তুমি ত শ্মশানের চিতায় সেই ক্ষণে,
যবে আশীবিষ নির্বিষ বিশ্বাস জন্মিয়াছে মনে।

০৫-১২-২০২৪ খ্রি.
সবুজ বাগ, সদর, রংপুর।