‘‘প্রায় সমান আকারের দুটি প্রকোষ্ঠ একত্রে শব্দায়িত হলে
উৎপন্ন শব্দের তীব্রতায় যে পর্যায়ক্রমিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে
তাকে সে প্রকোষ্ঠের শ্বাস-প্রশ্বাস কিংবা বুকের ধুক ধুক বলে।’’
প্রশ্ন করেছিলে, বুকের ধুক ধুক কাকে বলে?
একদিন খুব দেখতে চেয়েছিলাম বলে তোমায়
বলেছিলাম, তোমায় দেখার জন্য বুকটা ধুক ধুক করছে।
প্রশ্ন রাখতে বিলম্ব করোনি তুমি!
‘‘বুকের ধুক ধুক আবার কাকে বলে?’’
কতোটা তাচ্ছিল্য মেখে রেখেছিলে ওই ঠোঁটে।

সেদিনের সেই মাঝ রাতের প্রশ্নটি মনে রেখেছিলাম আমি
চাইলেই হয়তো এরকম হাজারো সংজ্ঞা শুনিয়ে দিতে পারতাম তৎক্ষণাৎ
পারতাম একেকটি সংজ্ঞার নিযুততম সুনিপুণ ব্যাখ্যা দিতে বারংবার
কিন্তু ওই সময়ের বুকেরে ধুকধুকুনিতে আমার যেন তা সম্ভব ছিল না
আর তুমি তা ভেবে নিলে আমার ব্যার্থতা।

আজ এক শুদ্ধতম সংজ্ঞা লিখে গেলাম পৃষ্ঠাময়
যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ও যথাযথ সময়ে তুমি তা পড়ে নিও
ম্যাটাডোরের গন্ধ শুঁকোবার আগেই।

আমি যে তোমার কণ্ঠ শুনলেই অবলা হয়ে যাই
বুক খানা আমার ধক ধক করে।