কবিতা গিয়েছে চলে দূরতম দ্রাঘিমার আপাতন কোণে
যাপনের বহ্নিশিখা সময়ের কোরাসের ওষ্ঠবিম্ব বোনে।
ঘুঘুর মনের মতো একপেশে প্রেম যেন হেঁটেছে ভূগোল
পাললিক প্রতিক্ষায় ইলোরা অজন্তা হয়ে বসে আছে ভুল।

মানুষের মতো সব উদ্ভট বেদনা যদি গভীর সুন্দর
হয়ে মাছরাঙা পাখিটির প্রেয়সীকে করে তোলে যাযাবর --
যদি লক্ষী-প্যাঁচা দেখে কোলাহলের শূন্যতা - বনের ভেতর
তাহলে শিশির ধুয়ে সজারুর চলাচল খেয়ে নেবে ঝড়।

সন্ধ্যার গঙাফড়িং লেজে তার লেগে আছে  হাওয়ার বাঁশি
জীবনের পথ তার হেঁটে এসে পা পা করে খেয়েছে প্রেয়সী
দাঁতাল রাতের কাছে রেখে যেতে এসেছে সে প্রজন্ম পুরান
অজস্র ফড়িং উড়া বিকেলের স্বপ্ন মাখা আগামীর গান।

হতাশা আঁতুর নিয়ে মানুষেরা শুয়ে থাকে অজস্র দুপুর
চক্রবালে ছায়া নামে শ্বাদন্ত রচেছে তার ধ্রুব অন্তপুর
বুধ আর চাঁদে তার নিয়মিত যাতায়াতে ছড়ানো বেসাতি
তবুও সে মানুষেরা বেদনাকে খেতে দেয় হুদয়ের বাতি।


একটি শালিক পাখি মহাবিশ্ব তার চোখে খেয়ে যায় খাবি
হেমন্ত ফাগুন চেয়ে জ্যোছনার বারান্দায় নিয়ে আসে দাবি।