অতনু চেয়েছে চোখে দিনভর হরিতের ফোটে বনসাই
মরণের কোলে বসে ছায়ার সমুদ্র মাপে দৃশ্যের বালাই।
মেঘের কল্লোলে নীল ছায়াবৃত্তে ঘড়িয়াল হেঁটেছে সৈকত
ব্রহ্মপুত্র চলে যেন শতাব্দীর আলোড়নে বেলোয়ারি পথ।

জীবনের ধারঘেঁষে পাখিদের পরম্পরা এসে একদিন
অলিখিত সভ্যতার পাঁজাকোলা আবর্তনে হয়েছে বিলীন।
দৃশ্যেরা তবুও থাকে পটভূমি বদলের গভীর ছায়ায়
এখানে সুন্দরী নারী উজান কার্নিশে বসে দেবী ভক্তি পায়।

পৌষের কৌলীন্য এসে ভিড়ে যায় কুয়াশার স্মৃতি চরা মাঠে
রহস্য আলোর ভিড়ে প্রেমিকারা জ্যোছনার ধোঁয়াশায় হাঁটে।
বৈশাখী মেঘের মতো কুহেলি প্রভায় এক
গভীর সময়
প্রান্তরের মাঠ ছেড়ে আরো দূরে তারা যেন পেতেছে বলয়।

কুয়াশা দেয়াল কেঁপে রাত শোনে রথীদের মৃদু গুঞ্জরন
বর্ষজীবী চাপাহাসি সুপ্রাচীন অভিমান মিহিকন্ঠী মন
সেখানে রয়েছে এক হৃদয়ের পুরাতন চপলা আহ্লাদ
মন ছেঁড়া সুতো নিয়ে জ্যোছনার  মহরতে উড়ায় বিষাদ।

দৃশ্যের বসেছে আজ আলোর ভেতর চেপে মাতাল সময়
কুজ্ঝ-আলোর ওপার থেকে আমার প্রেয়সী যেন কথা কয়
মাঠ থেকে অবিরাম আলোর ঘোড়ায় চেপে ফিরেছে শৈশব
হৃদয়ের শূন্যতায়-- সহমরণে গিয়েছে চলে আর সব।