চাঁদের আহ্নিকে বুড়ি

চাঁদের আহ্নিকে বুড়ি হেঁটে এসেছে ভাদ্রের নধর কামিজ
ফিনফিনে রাতের শরীর
মাঠের দীঘল আল বেয়ে বেয়ে
মানুষের মতো প্রাণিদের ভীড়
চাতালে দেখেছে এসে চেয়ে।
মাতাল দাবার পটে আকুলিবিকুলি করে রুগ্ন মনসিজ।

আঁধারের নগ্নবাহু আঁকড়ে ধরে ধারালো বিধানের স্তন
নগর নটীর মতো ক্লীব
ঘরে ঘরে পুঁতে দৈহিক শিকল
তসবি --মালা ও হয়ে উদগ্রীব
ক্লীব হতে চায় অবিকল
বিষুবীয় ব্যাসার্ধের  জ্ঞাতি খেকো  জনপদ খেলে মন মন।

হিংস্রতার নরক উত্তর গোলার্ধ ব্যাপী মারণাস্ত্র জুড়ে
অসহায় ভূমধ্যসাগর
যুদ্ধ বিমানের ককপিটে চড়ে
কেড়েছে গাজার চোখের ডাগর
এই জীবনের বালিচরে--
মানুষের প্রতি মানুষের এত ক্রোধে নরকের চোখ যায় পুড়ে।

চাঁদের আহ্নিকে বুড়ি নির্মল ভাদ্রের রাতে খেয়ে ভ্যাবাচেকা
দেখেছে অবাক আস্তাবল
সহজ সত্যকে দিয়ে ধামাচাপা
স্যুপ হয়ে আসে নর্দমার জল
হিংস্র নখরে মহী কাঁপা
হায়েনার দেশ ছেড়ে লজ্জায় আলোর বাণ পালিয়েছে একা।