মাথা ঘেঁষে চলে যায় যেন হেমন্তের রোদ ; স্মৃতিস্তম্ভ গলে--
একদা তোমার প্রেম পেয়েছিলাম কুড়িয়ে শিশিরের জলে।
কার্তিকের মতো তুমি নও আর বেহিসাবি ঝরানো জীবন
জলা-মাঠ এঁটো করে দ্রৌপদী নগরে পোঁতা তোমার ঐ মন।
ভালবাসা শেষ তবে-- বুড়ি পৃথিবীর মাঠে
ঘুমায় অঘ্রাণ
মানুষের মতো করে জেগে উঠে ফসলের লালাঝরা প্রাণ
পৌষের কালপুরুষ কতবার এসে যায় নদীতটে থেমে?
অনাদী রাতের চোখ তোমার প্রেমের নামে গেছে বুঝি ঘেমে।
শিয়রে বিশাখা শোয়--তোমার মতন এক দীপ্ত সহচরী
জীবনের কুয়াশায় জমিয়েছি শীত শুধু না জমিয়ে খড়ি।
আকাশের দীপাবলি মানুষের মন থেকে কম কিছু নয়
জেগেছে নিশুতি ব্যথা, জীবনের স্বার্থকতা-- অপার বিষ্ময়।
তুমি তো জানো না কোন বেদনার কোলাহলে ঝরে যায় মন
শিশির কুড়ানো ছেলে মিইয়ে গিয়েছে রোদে নিশাদল বন
হেমন্ত চলেছে এক রোগিনীর মত করে শীত নিয়ে হাতে
মানুষও কি ভাঙে না? সীমাহীন যাতনার ঘাত-প্রতিঘাতে?