তীব্রতর অন্ধকার ভাঙনের আওয়াজ দুরতম বোধ
বলেছে আমাকে ক্লেদ ধারালো আলোর বাণ খরস্রোতা ব্যথা;
পৃথিবীর খড়িমাটি আর নক্ষত্রের ঝাঁজ শালিক সুবোধ
কখনো যেন না আসে মানুষের মৃত্যু মঞ্চে সে অপারগতা।
অশ্রুর পথের মতো কোমল চলন তার বহুব্রীহি ধার
শ্রাবণের রাত্রিবৃত্ত রাশি রাশি নৌকা বাঁধা শ্রোণিঘাট;
আমাকে নিয়েছে ডেকে পুলকের অনিশেষ কামার্ত আঁধার
নাতিদীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা চিরন্তন হারানোর বিদেহী লোপাট।
বুলোটের মসৃনতা রক্তের সৌন্দর্য দেখে ভুলে গিয়ে পথ
গুলিয়ে ফেলেছি কাজ দায়িত্বের দায়ভার সুদৃঢ় শপথ।
সর্বনাশের সমুদ্র ভরে গেছে দেখি কত অচেনা জাহাজে
রতি সমাধি আমার হবে পৃথিবীর পারে বঞ্চনার ভাঁজে।
সারি সারি মিছিলের আলো স্তব্ধ সলীলের মাখামাখি শেষে
শরীরি কার্বন সব ছেড়ে যাব চুপে এই গাঢ় তৃণ-ঘাসে।