জোব্বা নিয়েছে হুজুরের টুপি ভাষণ করেছে ভাড়া
হেদায়াত আসে স্বার্থ ও ঘুষে সমাজীরা আছে খাড়া।
তিন লাখ টাকা বক্তাকে দেবে নয় লাখ টাকা চাঁদা
চিনামাটি খেয়ে মসজিদ ভারে  হয়েছে আজব হাঁদা।

এসেসের গ্রীলে ঝুলছে যে তালা চকচকে তার হাসি
পাপীরা সবাই কুয়াশায় কাশে গলাতে চাঁদার ফাঁসি।
ছেলের বেতন, মেয়ের পোশাক, মায়ের ঔষুধ কিনে
হাজার টাকার চাঁদার উপায় ভাবে শরফুদ্দীনে।


-- ওরে নালায়েক, নাদান বান্দা... হুজুর চলেছে বলে
এজমার জ্বালা বেড়েছে ফজুর কুয়াশার কোলাহলে।
বিফল গ্যাসের চাপাচাপি শেষে উবু হয়ে টানে দম
বিরক্তি ভরে ভ্রুকুঞ্চি করে  মনযোগী সমাগম।

গভীর রাতের হরেক খানায় রকমারী পদ আসে
গন্ধে মাতাল মোসাহেবখানা ক্ষুধিতের নাকে ভাসে
ইবলিশ মেরে মাইক ফাটিয়ে হুজুরের লালা ঝরে
এমনি ওয়াজ মহিমায় কেন বসে না প্রতিটি ঘরে?

ইট বালি রড উঠেছে অনেক চাঁদা লাখ লাখ টাকা
পঞ্চম তলা উঠবে যদিও ফজরে জামাত ফাঁকা।
দু ইমাম আর তিন মুসল্লী বাকিটা ভরেছে জ্বীনে
ধাতুতে চমকে এ ভোর এসেছে ত্যাগের নিরালা দ্বীনে।