ছাতিমের শীর্ণ দেহে শিশু এক মহাকাল গেড়েছে মলাট
সন্ধ্যার গোধূলি মেখে সাঁতরিয়ে আসে হীম চাঁদের ললাট।
ধাবমান হেমন্তের কোলঘেঁষা শিশিরের ফলন্ত দু চোখ
তোমাকে পেয়েছে যেন; গোপন একান্তে একা-- তারামূখী মুখ।
দিগন্ত পরেছে কোন বেলাশেষ অন্ধকার অচেনা দহন
আকাশের খইক্ষেতে কল্পনার পাখি যেন খুজে ফেরে মন
আরো ফিকে নদীতীরে ফিরে আসে হৃদয়ের নিজস্ব বিষাদ
পাততাড়ি অবশেষ--তারামূখী শূন্যতার মুখের নিষাদ।
মুখের ফসিলে তবু জেগে থাকে অপেরার গভীর সুন্দর
প্রেম সেজে বিষণ্নতা হাজার বছর তাতে করে গেছে ঘর।