তার নিহত উজ্জ্বল পাথারের ভ্রুণে
অমল আকাশ গেঁথে সলীল সমীর
বেদনার বালিয়াড়ি ছোঁয়ায় চিবুকে
জলস্তম্ভে মুখ দেখে অচেনা দু- তীর
কিশোর মৃদুলা ধ্যান ধরে রাখে চোখে।
ফেনার ময়ূখ দিয়ে গাঁথানো জীবন
বোধিবৃক্ষে অপলাপ টানায় শরীর
জীবনের কাছে আসা পরিযায়ী মন
তামসিক বেদনায় অচেনা নারীর
শরীরের খাঁজে খোজে রুদ্ধ সম্মোহন।
দ্রোপদীও একদিন পাশা শেষে বনে
স্নায়ুমল্লে বিজয়িনী ভেঙে বনবাস
শাস্ত্রের কানুন মেনে পঞ্চদেহ-মনে
এনেছিল মুঠো করে যাপিত বিশ্বাস
শরীরের সাথে মন লেগেছিল মনে।
অপ্রেমের হাতে ধরে প্রণয়ের নাম
ষোড়শী শরীর যেন রেখেছে প্রমোদ
অনাদী মানুষ শুধু খুঁজে গেছে কাম
জীবনের তরে এনে লাস্যময়ী রোদ
সব সম্পর্কের মূলে ছিল মনস্কাম।