সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।
কারো সাথে আছে হৃদয়ের ঋণ বাঁকি
কারো কাছে পাওনার পাহাড় আছে ফাঁকি
শরীরের দেখাদেখি আজকাল
মনেতেও ধরেছে অসুখ।
সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।
স্বপ্নের পাহাড়ে নেমে গেছে ধ্বস
স্মৃতির হাত পা ক্রমশঃ অবশ
নিরস কল্পনায় আর আসে না
তেমন সুখের আঁকিঝুকি।
স্বপ্নের প্রান্তরে কালো ঘোড়া দেখি
যেন ভালবাসে আজ আমাকেও
কিভাবে তাকিয়ে আছে দেখো
হয়ে উন্মুখ।
সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।
শরীরের দেখাদেখি মনেও আজ হায়
অদ্ভুত খাজুলি শুধু চুলকায়
কী জানি কাছে পেতে চায়
কাকে জানি আঁকড়ে ধরে
আবেগে হারায়
কার হাতে নিঃশ্বাসের ছোরা তুলে দিয়ে
পেতে দেয় বুক।
সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।
খরায় পুড়ে গেছে অনুভূতির ক্ষেত
আশায় লেগেছে জ্যাম, লাল সংকেত
তবু অনিকেত মন হয়ে যাযাবর
হতাশার মাঠে খুজে ঘর
যে ঘরে তার শান্তি সমাধি হবে
যে ঘরে সে থাকবে বেঁচে
মরনের পরেও হয়ে জাগরূক।
সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।
জানি আমি শহরের আকাশ আজ
কংক্রিটে লেপা
আত্নহত্যা করেছে আবেগধারী সব
অদ্ভুত ক্ষ্যাপা
কাঁপাকাঁপা হাতে বিছানা গুটাই
তুলে তুলে রাখি শেলফে অটোমেটিক
নেমে যাওয়া সব স্মৃতির অসুখ।
সাত পাঁচ বাদে আছি তো অবাধে
এই টুকু ধরে নাও সুখ।