নিবিড় আলোর ঠোঁটে সিন্ধু রমণীদের পুরাতন চুল
টেরাকোটা,  ঘটি-বাটি নিয়ে যেন চলে যায় পুরনো বাতাস
আমাদের নাগরিক দ্যোতনায় কার যেন সলাজ আঙুল
লিখেছে নগর-গ্রাম, যাপনের দিনলিপি,  অধীত আকাশ।

সুরতহাল খাতায় মহাকাল আধুলির ছেপেছে ওপিঠ
ষোড়শীর গায়ে মাখা সুগন্ধি সময় তো হেঁটেছে ভূগোল
কালপুরুষ গিয়েছে চলে কতদুর বলো? শুধু পিটপিট
করে চেয়ে উঠে নদী, দালানের পাশ ঘেঁষে ফুটে উঠে ফুল।

বুকের পাথরে করে এনেছে যে স্বয়ম্ভর কঠিন তাপস
রোদেপুড়া ঘর্মদিন অন্তহীন দুর্ভোগের মলিন দুপুর
তবু মানুষের মন কখনো বা নদী হয়--মন্দ্র' র বিবস;
রাতের লহরী হয়ে কখনো বা দেহে তোলে অপেরার সুর।


অবসর তো কখনো খুলে নি বাঁধন হাতে বাবেল- সামুদ
পুরনো পাপের সাথে আধুনিক সভ্যতার হয় সহবাস
জীবনের পাশাপাশি সময়ের চালাঘরে বাস করে বোধ
প্রেমে বা অপ্রেমে নয় মানুষের সত্ত্বায়ই বাস করে লাশ।