একদিন চুপিসারে চলে যাবো আমি ঘোর নীশিতের রাতে
ঘন ঘোর অন্ধকারে মিটি মিটি জ্বলে থাকা তারাটির সাথে।
তখন ঘুমের সময়, প্রেয়সীর বুকের প'রে মাথা রেখে
ঘুমিয়ে থাকিবে তুমি প্রিয় হৃদয় দিয়ে হৃদয় খানি ঢেকে।
তখন ধনেশ পাখি তার বাবুটাকে সবে পাড়িয়েছে ঘুম
তখন লক্ষীপেঁচার ঝাঁকে শিকারের পরে গেছে মহা ধুম।।
বৃদ্ধা এক আধোঘুমে খ্যাক খ্যাক করে উঠবে শ্বাসের কাশে
চালতার ফুলের সুবাস গাঢ় হয়ে ধীরে ছড়াবে বাতাসে।
হাসনা হেনার উঠিবে তখন চরম ঘ্রাণের বিচ্ছুরন
ঝির ঝির হিমেল হাওয়া তখন জুড়িয়ে দিবে এসে মন।
তখন রোহিনী তারা ধীর পায়ে চুপিচুপি পৃথীবিতে এসে
বেদনার গন্ধ শুঁকে যাবে, মাটি আর মানুষেরে ভালবেসে।
নীল গাইয়ের তখন প্রসব হলো ; চেটে এঁড়ে ছানাটিরে
পৃথিবীতে বাঁচার কৌশল শিখিয়ে দিতেছে চরম আদরে।
বনরুই এক পালিয়েছে সবে শিকারীর ত্রস্ত তাড়া খেয়ে
শকুনী তার ছানার ঘুম গভীর করতে দিতেছে চুমিয়ে।
শতবর্ষী কচ্ছপ চলিছে ধীরে চির অভিযোজনের তরে
তখন জোনাকী পোকা সেরেছে আধার দিকে দিকে উড়ে।
হয়ত তোমরা তখন গভীর ঘুমে উড়ায়েছ সাদা পাল
আমার যখন থামিয়েছে পৃথিবীতে চিরতরে মহাকাল।
আমার প্রপিতামহ নিতে তার সন্তানেরে আসিয়াছে দ্বারে
পিতামহ গুনিতেছে বয়সের ব্যবধান এই পৃথিবীর পরে।
এই পৃথীবিতে পঁচিশ বছর তাঁর বাবা বড় ছিলো তাঁর
পঁচিশ বছর বড় তিনিও পৃথিবীতে ছিলেন যে বাবার
আমার বাবর জন্ম ছিল আমার বছর পঁচিশ আগে
কী দারুণ মিল! চার পুরুষের মেল পঁচিশের অনুরাগে।
আহা রে জগৎ কাল!৷ চার পুরুষে শতাব্দী যে হয়েছে পুরা
উনারাও একদিন নিশ্চুপে হয়েছিলেন আমাদের ঘরছাড়া।
তখনো উষার আলো পৃথিবীতে আসতে অনেক আছে বাকি
তখনো তোমরা পারনি বুঝতে সে আমার অশেষ ফাঁকি।