আজকাল আর তেমন লিখতে মন চায়না,
শুধুই ভুল বুঝাবুঝির কারনে।
কতটা অসহায়,কতটা বেদনায় শব্দের সৃষ্টি,
তার অবমূল্যায়ন কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা।
বুকের ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে যখন
দু-একটা শব্দের গদ্য বেরিয়ে পড়ে,
তখন পৃথিবীর সাধারণ মানুষগুলো
পদ্য ভেবে বাক্যের উপর উপচে পড়ে!
সাবাস,সাবাস বাহ বাহ দিতে দিতে
বলেই ফেলে কি লিখেছিস মাইরে,
তুইতো শালা মস্ত কবি শব্দ পাইলি কই?
একেকটা শব্দ প্রসবের যে কি নিদারুণ যন্ত্রণা
কি করে বুঝাই? অবাক হয়ে চেয়ে রই।
এ-যে পদ্য নয়, খুন ঝরা বুকের নিরব গদ্য,
এ-যে কতবড় দীর্ঘশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এখানে ছন্দের চেয়ে মন্দ বেশি সবাই অন্ধ,
শব্দের পর শব্দ বসিয়ে বোঝাতে প্রায় ব্যর্থ।
এরপর লেখাজোঁকা নিয়ে কত কানাঘুঁষা,
ইছ! নিজের গোপন কষ্টের কথা এভাবে লেখে নাকি?
ছেলেটার পারসোনালিটি নেই বললেই চলে,
এই সমাজের কালচার, তোর দুঃখে তুই মর,
ঢাকঢোল পিটিয়ে জানান দেওয়া অপরাধ।
তারচেয়ে বরং সেলফি তুলুক, নাহয় বানাও টিকটক।