আজকাল বড্ড বেখায়ালি হয়ে চলেছি,
তোমাকে না পাওয়া আকাঙ্ক্ষার তৃষ্ণা
যেন দীর্ঘায়ু লাভ করে চলছে।
বুকের ভিতর জমে থাকা কষ্টগুলোকে
বন্দী করে রাখাও যে ভীষণ কষ্টের অনুভুতি
তা কিভাবে উপলব্ধি করবে তুমি?
সযত্নে লালন করতে হয়নি এমন উপহার।
কি করে বুঝবে তুমি?
হৃদয়টায় জাগতিক মহাপ্রলয়ে যে ভাংচুর হয়
তা আমি কি করে সামাল দিই আর লুকিয়ে
রাখি হীনমন্য অপরাধবোধ।
আর্তনাদ কাঁদে অসহায় ভিখারির মত,
সম্বল খুজে বেরায় সহায় এর কাছে।
নিরব অভিমানে সবকিছু সইয়ে নেওয়ার
প্রবনতা প্রতিনিয়ত প্রগাড় হয়ে চলেছে।
আচ্ছা বলতো আমি কি তুমার নই?
নাকি কখনই তুমার ছিলাম না। উত্তর নেই
সেদিনও এমনি ভাবে চুপ ছিলে।
অশ্রু জলে নূপুরের ধ্বনি শুনতে শুনতে
আমি ক্লান্ত হইনি এখনো।
শুধু চোখ দুটি এখনো অবুঝ, মৌসুম বুঝে না
নিরভারে দিয়ে যাচ্ছে খরস্রোতা ঝর্ণাধারা।
জানো, তবে আমি ভুলেই গিয়েছি
পালকি করে নতুন বউয়ের মত করে
সুখপাখিটার আগমন কবে ঘটেছিলো।
অনেকদিন হল সুখ আর দুঃখ এই দুইয়ের
পিড়াপিড়ি করতে হচ্ছে না।
এই হৃদয়ের সিংহাসনে দুঃখ এক নায়ক্তন্ত্রের
মতই অধিষ্ঠ।
তুমি আমার নও, আমার ঘরের প্রদীপ নও
আমি তোমার প্রজ্বলন শিখার ভস্ম মাত্র।