শেষ যে বছর যখন গঙ্গায় লাশ ভেসে উঠলো
আমার বয়স তখন ১৬ কিংবা ২০
একদম কিশোর বয়স টা পার করছি মাত্র
এখনো মনে পড়ে সেদিনের মুখ গুলো
একজন মানব আর পাশেই বাহু আঁকড়ে ধরা
জীবন্ত মানবী -চোখ দুটো কিছু বলছিল
একে অপরকে মরে যাওয়ার পূর্ব থেকেই হবে
মরে গিয়েও যেন তারা কিছু বলছে
আমি সে ভাষার কোনো শব্দের অর্থ জানিনা
শুধুই মনে আছে একদৃষ্টে চেয়েছিলাম
ততোক্ষণে পুরো পাড়া জেনে গেছে
ঘুম ভাঙলো তখন কারো চিৎকারে
শ’খানেক গজ দূরেই পিঁপড়ে খাচ্ছে স্বাদ করে
২-৩ মাসের একটি শিশুকে
মায়ের কোলে যেমন করে ঘুমিয়ে পড়তো সে
ঠিক তার চেয়েও বড় সুখে ঘুমিয়ে আছে
শৈবাল আর পানির মধ্যখানে
তার সে ঘুম চিরন্তন
ইচ্ছে হচ্ছিল ঢেকে জিজ্ঞেস করতে-
খোকন তুই আর জাগবি না একদম
আমি তর দুটো চোখ চিরতরে নিভিয়ে দেই

এ খুনের কোনো পরিচয় নেই
আমি পুরো সমাজ কেই খুনি হিসেবে চিনি
মানব কিংবা মানবী কিংবা ঐ অবুঝ শিশুর
গল্প বলেই আরো একশো বছর পার করবো
কোনো একদিন আমিও বেওয়ারিশ হবো
সে গল্প কেউ না শুনুক

১৬.০৬.২০১৯ইং