অদৃশ্য শক্তিধর কালো আত্মা জব্দ করেছে আমায়-
কবিতা লেখার শব্দ গুলো হারিয়ে বসেছি,
পাণ্ডুলিপির বুকের উপর থুবড়ে পড়ছে মাথা-
বোবাদেহটা  নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে অসহ্য ব্যথায়।

রক্তাক্ত করছে ভেতরের আমি সত্তাকে,
দু'হাত যেন বেঁধে রাখা আছে-
অদৃশ্য_অজানায়!
আমি অসহায় ক্লান্ত এক প্রাণ-
হেরে যাচ্ছি কালো শক্তির বলয়ে।

হঠাৎ,
সমস্ত শরীরে কাঁপুনি দিয়ে আত্মা বের হয়ে আসলো,
আজ আত্মা প্রতিবাদী,
কিছু দাবি দাওয়ার কথা নিয়ে বলবে-
শিশুদের জন্য আজ আত্মা কবি,
কালো আত্মা চিহ্নিত হলো আমাদের সমাজটা।

সুকান্ত বলেছিলো এসেছে নতুন শিশু তারে ছেঁড়ে দাও স্থান,
কে শুনে কার কথা,
কোথায় আজ শিশুর আবাস?
রেল লাইন,ফুটপাথ কিংবা বস্তিঘরে!
কেনো এমন শিশুর আবাস?
উত্তর নেই কারো কাছে-

ক্ষণিক ভালোবাসার কীর্তি!
কার আজ দায় পরে,
মলিন পলিব্যাগে বন্দি সভ্যতা!
তাহাকে প্রেম বলে,ক্ষণিক উপভোগ্য!!

আমাদের আর কি দু'চারি কথায় কেঁদে বুক ভাসাই-
শিশুর বলৎকার কিংবা যৌন নিপীড়নে-
সমাজ কই?
মানুষও বা কি করে?

সুশীলের দীর্ঘ বাণী বহুকিছু করবো আমরা!
আসলে তারাই দায়ী!!
রাস্তা কিংবা বাড়িতে  শিশু খুবই অসহায়-
এই সমাজ নির্মিত নয় মানুষে,
সবাই মানুষরূপী!

আত্মাও কেন জানি থমকে গেলো,
করুণ চাহনিতে শেষ মিনতি করেই যাচ্ছে-
শিশু স্বর্গ চাই!
যেখানে শিশুও বেঁচে থাকে,বেঁড়ে উঠে ভয়হীন-
কথা বলে,শব্দ বুনে নতুন আগামীর।

আমি একটি আবাস চাই,
আমাদের নবগত আত্মাদের,
যারা এখনো স্ত্রী গর্ভে,
তাদের বসতি চাই!
শিশু স্বর্গ চাই!!

আত্মাও কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে,
তার কন্দনরত ছায়ায় যেন বলছে-
একটি মানুষের আবাস চাই,
শিশু স্বর্গ চাই!