সমাজের যত্রতত্রে দুর্গন্ধে ভরে গেছে আজ,
রুমালে ছাপিয়েছে নাক সভ্য জন,
খুনের পসরা বসিয়েছে বাজারিরা-
অসংকোচে দর কষাকষি রক্তের।
ঐ পাড়ায় আজ আগুন-
রাম,কৃষ্ণ,সুলেমান,মিরাজ বাড়ি ছাড়া,
ষোড়শীর পাজরের হাড় ভেঙে গেছে-
দানবীয় শক্তির বিজয়োৎসবে।
এই শহরে কালবৈশাখী আসুক আজ,
লণ্ডভণ্ড হয়ে যাক জনপদ,
দৈন্যপীড়িত বৃদ্ধার কন্দনরত চেহারা মুছে যাক-
মুছে যাক নাম অসভ্য জনের।
বিদ্যাবুদ্ধি পোকা খেয়েছে বহুদিন আগে,
নতুন নোটের বিনিময়ে সত্তা বিকিয়েছে,
ওরা সমাজে আড়ালে কাপড় খোলে,
এই শহরে কালবৈশাখী আসুক।
ডাস্টবিন থেকে চিৎকার করে শিশু বলে,
কি দোষ আমার?
পিতৃ পরিচয় আদায়ে সমাবেশ ডাকুক পথশিশু,
না,
আজ কালবৈশাখী চাই,
এই শহর লণ্ডভণ্ড হউক।
কালবৈশাখী এলে বেঁচে যাওয়া আত্মা গুলো মানুষ হবে,
এ পাড়া ও পাড়া আর জ্বলবে না-
ষোড়শীর পাজরের হাড়ের চিকিৎসা লাগবে না গোপন ঘর থেকে,
রাম,মিরাজ,সুলেমান ভাই হবে,
মুক্তির গান রচিবে সর্বত্র।
আজ আসুক প্রলয়কারী কালবৈশাখী,
ধ্বংসেই সৃজিত হউক,
নতুন মানুষ,নতুন সমাজ।