জরাজীর্ণ জঙ্গল ঘেরা ঘরটাতে,
ভয়ার্ত চিৎকার শুনি মাঝে মাঝে,
বহুদূরে দৃশ্যমান প্রকাণ্ড হিজল গাছে-
অশরীরী কোনো ছায়া যেন দুলে ওঠে।

পঁচা পুকুরের পাশ ঘেষা,
কলমি গাছের বেষ্টনীতে আবদ্ধ চারপাশ,
থমথমে দুপুরে কাঁপুনি উঠে যেন-
মরণ চিৎকারে।

বাঁচার আকুতি যেন শুনি,
কোনো ষোড়শীর কান্না জড়িত কণ্ঠে,
ঠকঠক করে উঠে আর্ধভাঙা দরজায়-
কি করুণ চিৎকার।

ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে দেখি,
জরাজীর্ণ ঘর থেকে যেন আমায় ডাকছে,
করুণ চিৎকারে-
আমাকে বাঁচাও।

হিজলের ডালে ডানা ঝাপটিয়ে পাখির চিৎকার,
জনমানবহীন ঘরখানা আরও রহস্যময়,
টিনের ছালে যেন বৃষ্টি বরষণ-
মনে হয় নাম ধরে ডাকছে আমায়।

বাঁচাও আমাকে মেরো না,
একদম কাউকে বলবো না,
আঘাতের চিহ্ন সযতনে-
আমাকে মেরো না,বাঁচতে দাও।

ভয়ার্ত চিৎকার শুনি,
ঠিক ষোড়শীর কণ্ঠে,
পাঁজরের ব্যথায় অচেতন হয় এমন স্বরে-
বাঁচতে দাও।

বোধের জাগরণ ঘটে,
রহস্যময় চিৎকারে আহ্বান,
ওদের বাঁচতে দিও না-
যারা বাঁচতে দেয়নি আমায়।

প্রচণ্ড শক্তিতে কেঁপে উঠা ঘরটা থেকে শব্দ আসে,
আমায় যেন অনুনয় করে বলছে,
পরিচিত কতক মানুষের বিচার হউক-
করুণ চিৎকারে বলছে।

আজ প্রতিজ্ঞা করেছি,
ষোড়শীর খুনের বিচার করবো,
নাম বলা পাপিষ্ঠ আত্মার অবসান হবে-
থামবো না এই বলে রাখছি।

জরাজীর্ণ ঘরখানা শান্ত হবে,
বিজয়ের হাসি শুনা যাবে,
ষোড়শীর খুনের বদলায়-
পাপিষ্ঠ আত্মার বিনাশ হবে।