দু'চোখ লাল হয়ে হয়ে আছে রাতভর ভেড়া গুনে
হৃদকম্পন আর ঘড়ির টিকটিক ছন্দে বিলীন হতে চায়
আতঙ্কে দুচোখ বুজি
ক্রমাগত ডেকে যায় রাতের বীর, তক্ষক!
ধীরেধীরে গ্রামের চরিত্রগুলো
গভীর রাত ভেদ করে সজীব হয়
হাতুড়িওলা বাসায় জন্ম নেয় সে
ইস্পাতের মত শক্ত, সারেঙের মত বাহু তার।
হয়ে ওঠে সূর্যের সন্তান, বজ্র-কঠিন দৃষ্টি যার।
যারা পাথর ভাঙে
জীবনের কলতানে মুখরিত জনপদ গড়ে তারা।
ওরা শুয়ে পড়ে যেখানে-সেখানে চটের বস্তা বিছিয়ে
শ্রমের পর একটুখানি তৃপ্তির ঘুম
কোয়ারির বিষ্ফোরণে অঙ্গহানি হলেও
শ্রমিক কখনও ঘুমের বড়ি খায় না।
শব্দে সুরে জীবনের জয়গান গাইতে গেলে
সে হেসে বাধা দেয়, শোনায়...
কোনও অজ পাড়াগাঁয়ে কখন জন্ম তার
জানে না সে, হয়ত কোনও অশুভ ক্ষণ ছিল সেটা।
নরম তোয়ালে জোটেনি
জুটেছিল পুরোনো কাঁথা এক
আর মেলে উত্তরাধিকার সূত্রে
পূর্বপুরুষের মেহনতি ঘাম।
বড় হলে মেলে সামাজিক উপহার --
নুনছাল হাতে, আর পায়ে ফোস্কার জ্বালা
হাহুতাশে ভাগ হয়ে আত্মা ছড়িয়ে পড়ে
দুহাজার পাঁচশো টাকা পার সিএম, পাথরের গায়।
হাতুড়িটাকে জিজ্ঞেস করো
সে সব জানে।