সুনয়না—

খুব কাছ থেকে সন্ধ্যায় একটা পাখিকে ঘরে ফিরতে দেখেছো নিশ্চয়ই।

নিশ্চয়ই দেখেছো সূর্যের ঘরে ফিরার সাথে সাথে একটা রাখাল কাঁধে লাঙ্গল নিয়ে ফিরেছে ঘরে ;

মাগরেব শেষে মুয়াজ্জিন ঘরে ফিরেছে একবাটি সওয়াব নিয়ে ;

ঘরে ফিরেছে রহিম - রহিমা, যারা করেছিল নূতন বিয়ে ।

সুনয়না—

যে পাখিটির বুকের মধ্যে শিকারীর তীর বিঁধেছে ;

তাকে কবু ঘরে ফিরতে দেখেছো !

বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া রাখালের মৃতদেহ—

সূর্য ঘরে ফেরার পর ফিরে আসতে দেখেছো !

মাগরেবের সেজদায় রুহ ত্যাগ করা মুয়াজ্জিন'র—

সওয়াব নিয়ে ঘরে ফিরতে দেখেছো !

শহুরে রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া গাড়ির ভেতর থিকা—

সদ্য বিবাহিত রহিম - রহিমা ' র ফিরে আসা দেখেছো  !

অ ' সব প্রশ্ন'র উত্তর যদি " না " হয়  ।

তাহলে মনে রেখ, সুনয়না—

জীবন একটা আকষ্মিক বিপত্তি,  চোখের উপর রুপালি আভা,

মরুভূমির বালির ভেতর লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত সাপের ফাঁদ  ।

আমাদের জীবন - শূন্যের মতোন  !

যদি কবু শোনতে পাও—

আমি নেই, হারিয়ে গেছি শুন্যে, আমার দেহ পোকাদের খাওয়ার

সেদিন থেকে আমার ঠিকানায় কোনো চিঠি দিও না ; দিওয়ানা

কোনো গোলাপ  ।

তবে, শেষ রাতে- ঘুম ভেঙে গেলে  ;  দু'রাকাত নামাজ দিও,

দু'ফোটা চোখের জল দিও করে মুনাজাত  ।

                           ০৭ , আশ্বিন
                         কৃষ্ণ পক্ষ, তৃতীয়া
                         ১৪২৮ বাংলা যুগ
                               আহমাদ