একাদশীর মাহাত্ম্য
------------------------------
----------শিব পদ রায়
একাদশী পালন অবশ্য করনীয়,
ভৈমী একাদশীর গুরুত্ব পালনীয়।
পূর্বদিন সংকল্প করা খুব জরুরী,
ঐদিনে নিরামিষ খাওয়া দরকারী।
এই ব্রত পালনে পাপ বিনষ্ট হয়,
শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান পাওয়া যায়।
আট থেকে আশি এ ব্রত করা বিধেয়,
একাদশী শ্রাদ্ধ দ্বাদশী তিথিতে শ্রেয়।
ব্রতে ব্যর্থে চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ,
ব্রত ত্যাগে কুম্ভিপাক নরক গমন।
এই ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয়,
যজ্ঞ করে সে ফল হয় না বিনিময়।
আটা ময়দা সুজি সরিষাই বর্জন,
জল দুধ ফল আলু পেঁপে কলা খান।
খাদ্য ঘি বাদাম সূর্যমুখী তেলে রান্না,
এভাবে সর্বদা খেলে ঠিক হবে সাধনা।
মহাদ্বাদশী আগমনে দ্বাদশী করো,
পরদিন শষ্য গ্রহণে পারণ সারো।
শাস্ত্রবিধি না মেনেই মনগড়া ব্রতে,
ক্ষমা ভিক্ষায় পুনরায় হবে করতে।
ব্রতে তেল সাবান পরনিন্দা বর্জন,
মিথ্যা ভাষণ ক্রোধ দিবানিদ্রা বারণ।
গীতা ভাগবত আলোচনা বেশি করো,
সংসার কথ্য বর্জন কৃষ্ণ কথা ধরো।
বেশি করে জপমালা ক্ষৌরকর্ম বন্দ,
কাম বাসনা ত্যক্ত হরিনামে আনন্দ।
শ্রীহরির সন্তোষ বিধান ব্রত পালো,
একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ মুক্তির আলো।
তাং- ২০/০২/২৪ ইং
চুকনগর, ডুমুরিয়া, খুলনা।