জগৎ ঘুরে দেখলাম সর্বত্র সবাই শুধু যেন
ভালোবাসা পাবারই কাঙাল ।
সাথে সেটাও দেখলাম তা দেবার পাগল
বুঝিবা আমিই এক বাঙাল ।
ভালোবাসার বঞ্চনায় কতজনে অবলীলায়
হচ্ছে বিপথগামী, করছে আত্মহনন ।
উল্টো আমি তা দিতে না পারায় নারকীয়
যন্ত্রণায় সেই থেকে ভুগছি সারাক্ষণ ।
উজাড় করে ভালোবাসতেই পথে-প্রান্তরে,
দেশ-দেশান্তরে খুঁজেছিলাম যারে ।
কি ভাগ্যচক্রে অনায়াসে হাতের নাগালেও
সহসা পেয়ে গেলাম তারে !
আমার লালিত সেই নিখাঁদ ভালোবাসাকে
ধারণ করার সেই যে ছিল উপযুক্ত পাত্রী !
যাকে দেখা মাত্র স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি
শয়নে স্বপনে জাগরণে দিনমান অহোরাত্রি ।
তাকে নিয়ে স্বপ্ন নির্মানে দেখতে দেখতেই
পেয়ে যাই আশাতীত সাফল্য ।
কিন্তু গলায় পড়তে যেতেই কে যেন অদৃশ্য
হস্তে ছিনিয়ে নিলো সেই বিজয় মাল্য ।
ভালোবাসা বঞ্চনার মানুষগুলোকে যেমন
করে করতে শুনি শোকের বিলাপ ।
আর আমি তা কাউকে শুনিয়ে একটু দুঃখ
ঘুচাতে চাইলে বলে পাগলের প্রলাপ ।
আমি দ্বিধাগ্রস্ত এটা কি তবে সত্যিই ছিল
আমার ভালোবাসা নাকি আশীবিষ ?
যার সর্বদা ছোবল যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে
ছটফট করে শুধু কাতরাচ্ছি অহর্নিশ ।
রচনাকালঃ- রাত ৮:০৩টা, বুধবার, ১৭ মাঘ ১৪৩০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।