ভাষাটা মোদের রক্তে কেনা
দেশটাও কেনা রক্তে ।
তবুও কেন বাংলার জনগন
মজেনা দেশ অনুরক্তে ?
দেশ প্রেমে দেখিনা জাতির
এতটুকুও আন্তরিকতা ।
যেমন মোদের দেশের নেতা
তেমনই যেন আমজনতা ।
সবাই শুধু নিজের ঝোলাটা
ভরতে কষছে যত ধান্ধা ।
আহা ! স্বার্থের জালে সবাই
পড়েছে শক্ত করে বান্ধা !
স্বাধীনতা আনতে প্রাণ দিল
কত দুঃখীনি মা'র সন্তান ।
স্বাধীনতাটা পেয়ে করছি যা
তা ইচ্ছে দিচ্ছি না সম্মান ।
শহীদগনের মর্যাদা যেখানে
না দেয়াটাই অভিশাপ ।
সেখানে তাদের রক্তে কেনা
দেশ বেঁচে করি কত পাপ ।
এমনই অকৃতজ্ঞ জাতি হয়ে
কেমনে চাই থাকতে সুখে ?
ভেবে দেখুন তাইতো আমরা
সবাই আছি কি না অসুখে ?
অসুস্থ মস্তিষ্কের হর্তা কর্তার
দ্বারা চলছে না কি দেশ ?
শালারা উন্নয়নটা জানে কচু
জানে লুটে করতে শেষ ।
ঐ অসুস্থ বেনিয়াদের ভেজাল
পন্যে পুরো দেশ সয়লাব ।
সর্ষের ডেতরে ভুতের মতোই
ভেজাল বিরোধী ইনকিলাব ।
চিকিৎসকও তার সেবা ভুলে
রোগীর কাছে সাজে কসাই ।
শিক্ষার্থীর সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে
নেতার চেলা শিক্ষক মশাই ।
ধর্মগুরুও করেছে শুরু জাতির
সাথে ভণ্ডামি ও বাণিজ্য ।
জনতাও তাইতো দিনকে দিন
ভুলে যাচ্ছে ন্যায্য অন্যায্য ।
স্বাধীনতা মানেই যেন অবাধে
অপসংস্কৃতিতে গা ভাসানো ।
একটি বালখিল্যে জাতি বনে
দুনিয়ার মানুষকে হাসানো ।
হায় ! স্বাধীনতা তোমার এমন
অপব্যবহার আর কে করে ?
যেমন অপব্যবহৃত হচ্ছো তুমি
অকৃতজ্ঞ বাঙালির ঘরে ঘরে !
রচনাকালঃ- রাত ১০:৩৯টা, বুধবার, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪২৯, ৩০ নভেম্বর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।