গোপনে গভীর রাতে বাঁধ খুলে আমাদের
এদেশকে ভাসিয়ে দিলে বন্যায় ।
হে বন্ধু এর চেয়ে কি আছে অমানবিকতা
আর কিইবা আছে এমন অন্যায় ?

খরকুটোর মতোই ভেসে গেলো মানুষ ও
তার স্বপ্ন সাধ সহায় সম্বল ঘরবাড়ি ।
অসহায় হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখলাম শুধুই
তাদের স্বজন হারানোর আহাজারি !

মানুষকে মানুষ শাস্তি দেবার তরে আহা
করে কতনা ভয়ানক ফিকির ফন্দী !
যার ফলে কতজনে গেলো ভেসে কতেক
দূর্গম এলাকায় অনাহারে পানি বন্দী ।

যদি রাখে আল্লাহ তবে মারে কে ?  কেউ
মারলে কেউ তো দাঁড়াবেই পাশে ।
তাই সদ্য স্বাধীন বীর বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে
পড়লো দেশের এমন বিপর্যয় নাশে ।

বাঙালিকে বাঁচাতে বরং বাঙালির তাতে  
বাড়লো আরও দারুণ দেশাত্মবোধ ।
সহমর্মিতা আর কৃতজ্ঞতার বন্ধনে প্রত্যয়
সব দূর্যোগে একযোগে গড়ি প্রতিরোধ ।

হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্টানসহ পাহাড়ি
বাঙালি মিলে আবার হলাম একাকার।
সবাই আবারও শপথ নিলাম মনে প্রাণে
এভাবেই চিরকাল মিলেমিশে থাকার ।

রচনাকালঃ- সকাল ১০:২৪টা, সোমবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২৬ আগষ্ট ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।