ওরা নারীবাদী নাকি নারীবিবাদী
এনিয়ে সবসময় আমার হয় দ্বিধা সংশয় !
ওরা বলে নারীর সর্বত্র হচ্ছে জয়
আমি তো দেখি ওরা যতই হচ্ছে সক্রিয়
ততই নারীর বাড়ছে বিপর্যয় !
ওরাই বলে ওদের জন্যই নারীরা নাকি
আজ হয়েছে চরম ধন্য ?
আমি তো দেখি নারীরা এখন হয়েছে
স্রেফ ভোগ্যপণ্য, ব্যবহার শেষে বাতিল
মাল বলে তাদের করা হয় গণ্য !
যাদের কাছে নারীরা অত্যন্ত নগন্য...
সমঅধিকারের দাবীতে যত যায় দিন
যেনা ব্যভিচার হয়েছে অতি সহজ
কিন্তু বিয়েটাই হয়েছে ভীষণ কঠিন ।
লিভ টুগেদার বাড়ছে যেমন তেমনি
তালাকের হারও বাড়ছে দিনকে দিন ।
ওদের বিশ্ব জুড়ে নানামুখী কর্মকাণ্ডে
আইন করে বন্ধ প্রায় বহুবিবাহ ।
তাইতো দেশে দেশে আজ অবিবাহিত
নারীর হু হু করে বাড়ছে সংখ্যা প্রবাহ ।
নারীর চরম পতিত রূপ পতিতাবৃত্তি
এ থেকে তাদের নিবৃত্তি না দিয়ে
এটাকে শিল্পের দিয়েছে ওরা স্বীকৃতি !
তাই পতিতাপল্লীর যোগাতে কাঁচামাল
নারীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সেথা
বিক্রি করে বহু নিয়োজিত দালাল ।
সমঅধিকার আদায় নামে ঘরের রাণী
বাইরে বের করে এনে বানিয়ে ছাড়লো
বাবুদের যৌনদাসী আর চাকরানী ।
ওরা একতরফা আইনে বন্ধ করল নারী
শিশু নির্যাতন আর যৌন হয়রানি
যাতে ঘরে ঘরে হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন
যারা ফেলছে অভিশপ্ত চোখের পানি ।
স্রস্টার সৃষ্টির পরিচালনায় রয়েছে বিধান
কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী নির্বোধ নরনারী
তার অবজ্ঞায় প্রকৃতি এনেছে নিদান ।
নারীবাদী হারামজাদা হারামজাদির উত্থান
আজ সমাজ ভরে দিল দূর্নীতিবাজ আর
প্রকৃতির ভারসাম্য ভেঙ্গে করল খানখান ।
যদিবা পুরুষরা বাইরে দিতো কঠোর শ্রম
ঘরে ধার্মিক নারীদের পেতো সেবা তবে
কেবা এদের জন্যে খুলতো হে বৃদ্ধাশ্রম ?
তবে কেনই বা নারী পুরুষকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে
জড়িয়ে চালাতে হয় এসব ঘৃণ্য কার্যক্রম ?
রচনাকালঃ- সকাল ৬:৫৫টা, বৃহস্পতিবার, ২৯ জৈষ্ঠ্ ১৪৩১, ১৩ জুন ২০৩৪, মিরপুর, ঢাকা ।