পৃথীবির প্রকৃতিটা স্থীতবস্তায় থাকে না
যদিও একদম সেই যুগ যুগান্তর ।
ধীরে ধীরে অগোচরে অনন্তকাল ধরে
চিরচেনা রূপে তার হয় রূপান্তর ।

কিন্তু মানুষেরই রূপান্তর ঘটে বোধহয়
অতি অস্থীরচিত্তে খুবই দ্রুতলয়ে ।
অনুকরণশীল এ প্রাণীটি খুব প্রভাবিত
হয় যে তারই স্বীয় সমাজ বলয়ে !  

তার কারণ সে তো শুধু জ্ঞানই ধারণ
করে না তার আছে যে সতত যুক্তি ।
অবাধ স্বাধীনতা ভোগী প্রাণীটির তাই
চাই সর্বদাই গণ্ডিবদ্ধতা হতে মুক্তি !

তাই শরীফ থেকে শরীফা হবার তার
জাগেও এক উদ্ভট বিপ্লবী বাসনা...
নেপথ্যে যেহেতু থাকে গবেষণাগারের
বাৎলে দেওয়া কর্মসূচী ও প্রেষণা ।

তেমনই নারীশক্তিরও উত্থান ঘটেছে
যেন ঠিক ভূমিধস প্রক্রিয়ায় !
নারী ক্রমাগত শক্তি সঞ্চারে আসছে
উঠে তাই পুরুষসম প্রতিযোগিতায় ।

নারীর দোর্দণ্ড দাপট আজ পরিলক্ষিত
যখন সর্বত্র, তাই নিরুপায়ও পুরুষ !
তখন সমাজ সংসার সন্তানাদির হবে
কি ? ভবিষ্যৎ দর্শনে হারাই হুঁশ !

রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় পুরুষকে নারী
নারীকে পুরুষে পরিণত করতে ।
রীতিমতো মিশন নিয়েই তারা মাঠে  
নেমেছে অদ্ভুত সভ্যতা গড়তে !  

এ যাবত তাদের গবেষণাগার যদিও
মানুষের অকল্যানেই হয় ব্যবহার ।
উন্নত বিশ্ব হচ্ছে জনশূন্য বিয়েবিহীন
সংসার আর বাড়াচ্ছে বিচ্ছেদ হার !

নিয়ম ভেঙে আমরা কি তবে চলেছি
সবে শক্তিধর প্রকৃতির বিরূদ্ধে ?
আদৌ কি পারবো তার সাথে লড়াই
বাঁধিয়ে অসম এমন দ্বন্দ্ব যুদ্ধে ?

রচনাকালঃ- বিকাল ৪:১৯টা, বুধবার, ৯ জৈষ্ঠ্ ১৪৩১,
২৩ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।