হে রাঙা বসন্ত, হন্তদন্ত করে প্রতি বছরেই তো
এসে রাঙিয়ে যাও যত বাগান বনানী ও বন ।
সেই সাথে রাঙিয়ে যেতে যে আমাকেও, কিন্তু
এবার আর রাঙাতে পারবে না এ পোড়ামন ।
যার জন্য অনাদিকাল ধরে থরে থরে বহু যত্ন
করে সাজিয়ে রেখেছিলাম আমার মনবাগিচা ।
সে এলো, তার ছোঁয়ায় বাগিচা প্রাণও পেলো
আবার সব জ্বালিয়ে গেলো যা ছিল কচিকাঁচা ।
আমার চির সবুজ মন এখন একটি পোড়াবন
যে অবিরত ক্রন্দন করে সেই বাসন্তীর তরে ।
সবাই নবরঙে রঞ্জিত হয় তুমি এলে হে বসন্ত
যেন পয়মন্ত হয় আমার বিরহ জ্বালা অন্তরে ।
বসন্তকালে দিনমান কোকিলের কুহুতান সর্ব
প্রেমীমন আনমনেই করে উঠে যে আনচান ।
আমার পোড়ামন- তখন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে
যেমনটা ব্যথা হয় পোড়া ঘায়ে লাগলে টান ।
গ্রীষ্মের দাবদাহ ভুলায়ও কিছুটা বিরহ অহরহ
উত্তাপ ছড়িয়ে দেহ করলে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত ।
বর্ষা ঝরালে বাদল তখন আবার ঝরে আমার
আঁখিজল, অজান্তা শান্তায় মন করে অশান্ত ।
প্রকৃতির সাথে একাত্ম থাকায় বুঝি মানুষেরা
আমায় এভাবে সময়ে অসময়ে এত কাঁদায় ।
আমি হলেও মানুষ, তোমাতে মিশে রই বেহুশ
তাই মানুষের এহেন নিষ্ঠুরতায় বাঁচাই দায় !
রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৭:১২টা, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মিরপুর, ঢাকা ।