ভাগ্য গুনে কিছু পেয়েছিলাম গুরুর জ্ঞান
শিখতেও পেরেছিলাম কিছু আমল ধ্যান ।
স্বচেষ্টও থাকি পড়তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
সারাদিন মান ব্যস্ত থাকি নিয়ে শত কাজ ।
ফাঁকে ফাঁকে দোয়া দরূদ পড়ি মনে মুখে
বাদ বাকি সময় কাটে একটু আধটু লিখে ।
তবুও কোন ফাঁকে নিরবে ঝরে অশ্রু জল
হতবিহ্বল হয়ে নিয়ত যেন ভাঙ্গে মনোবল ।
কোন হারানো বেদনা তত দেয়নি যাতনা
অন্তত নিজের জন্য হৃদয়টা কভু কাঁদতনা ।
আজ সেই আমিই কি না সর্বদা কেঁদে মরি
মাঝ সমুদ্রে ডুবেছে যে আমার সোনারতরী !
কি করি আজ আমি কোথায় বা চলে যাই
কি করলে শান্তি পাবো উত্তরও জানা নাই ।
প্রিয়জন হারানোর এই অসহ্য বিরহ ব্যথা
যদি এমনিভাবে নষ্ট করে আমারই মাথা ।
আমার কাছেই এমন ব্যথা যদি দূর্দমনীয়
তবে আর কারো পক্ষে তা কত অসহনীয় !
প্রতি দমে দমে তার তরে আমার অনুভব
কেউই জানে না সেও না জানে শুধুই রব ।
কারো প্রতি অনুভূতি এতটা আছে কি না
আমি জানিনা, আছে বলেও তা মানি না ।
সেই হারানো বেদনার এক রত্তি পরিমাণ
সইতে পারবে না তেমন কোন হৃদয়বান ।
আমি পারছি বলেই কি প্রভু দিল এই কষ্ট
এক দশমাংসেই যে কারো জীবন হত নষ্ট ।
আমিও পারতাম না এমন ধ্যান জ্ঞান ছাড়া
তবুও মন মানেনা অজান্তে হই পাগলপারা ।
রচনাকালঃ- রাত ২৩:০৭টা, শনিবার, ২৭ কার্তিক ১৪২৯, ১২ নভেম্বর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।