বিধাতা তার সৃষ্টি জগতের ভারসাম্য
বজায় রাখতেই রেখেছেন বৈচিত্র্য ।
তাই বৈষয়িক,আধ্যাত্মিক নানা চিন্তা
চেতনায় সৃষ্ট মানুষ হয়েছেও বিচিত্র ।
সবার স্বাধীন ভাবনায় এতে বিশৃঙ্খলা
হবে বিধায় তিনি দিয়েছেন বিধান ।
পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরুপনও করছেন তথা
ইহকালীন পরকালীন সবের সমাধান ।
আর সীমা লঙ্ঘনকারী মানুষ সর্বদাই
সৃষ্টি করে যত্তসব মনগড়া মতবাদ ।
যার জন্যে যুগে যুগে কত জীবন কত
সভ্যতা হয়েছে তাই নিদারুণ বরবাদ ।
তেমনি পুঁজিবাদের আগ্রাসন ঢুকেও
গেছে এখন মানুষের মগজে মননে ।
তাই এর থেকে ব্যর্থতায় মুক্তি খুঁজে
মানুষ শেষে অগত্যায় আত্মহননে ।
কারণ তার যতই থাক গুন যোগ্যতা
মানবিকতা শুধু যদি না থাকে অর্থ ।
তবে সে নিজে না ভাবলেও সবারই
চোখে তার জীবন যেন সর্বৈব ব্যর্থ ।
তাই আর্থিক সফল যেই মানুষটির
কাছে স্বজনরা আসে মায়াবী মুখে ।
ঐ স্বজনরাই নির্মমভাবে দূরে ঠেলে
দেয় তার দরিদ্রতায় অসুখে বিসুখে ।
স্বজনদের থেকে পাওয়া অবহেলার
চেয়ে বড় কষ্ট নাইরে এই দুনিয়াতে ।
কাজেই বিধাতার বিধি বিধান অবজ্ঞা
করলে মানুষ মরবেই মানুষেরই হাতে ।
রচনাকালঃ- দুপুর ১২:২৪টা, সোমবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩১,
১৫ জুলাই ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।