যদি কোন দেশ জাতি শিল্পে
সাহিত্যে না হয় সমৃদ্ধ ।
সেথা তারুণ্য আসার আগেই
মানুষ হয় যে অকাল বৃদ্ধ !
দিক নির্দেশনা বিনা হবে না
তারা কোন কাজেও দক্ষ ।
তাই দুর্বল চিত্তে সহজ শর্তে
ওরা নেবে জালিমের পক্ষ ।
কবিতা গানে চেতনা আনে
জাতিকে দেয় যে দিশা ।
হটায় সকল কুসংস্কার আর
জাহেলিয়াতি অমানিশা ।
আবার সেই শিল্প সাহিত্যের
স্রস্টারাই যদি হয় চাটুকার ।
তবে জাতি পাবে না সে শক্তি
মেরুদণ্ড সোজা দাঁড়াবার ।
আবার গুণীরাও তাই জন্মায়
সেথায় যেথা পায় কদর ।
তারাই তত উন্নত, গুণী আর
জ্ঞানী জনতা হল সহোদর ।
আমরা শিল্পে সাহিত্যে আজ
যত না হয়ে আছি দূর্বল ।
তার স্রস্টাদের যে তার চেয়ে
বেজায় ভঙ্গুর মনোবল ।
দাঁড়াতেই শিখতে চায় না যে
তারা কারো পা না ধরে ।
একদা দাঁড়াতেও ভুলে যায়
প্রভুর পায়ে তেল মেরে ।
স্বমহিমায় বিকাশ হওয়া যেন
তাদের ভাবনাতেই নেই ।
নকলে পটু হয়ে তাই একদা
হারায় জীবনের খেই।
এভাবে যে চলছি সবে, কবে
হবে এর থেকে উত্তরণ ?
জানি না, জাগবে কি না গুণী
আর এ দেশের জনগন ?
রচনাকালঃ- বেলা ৪:১০টা, মঙ্গলবার, ২১ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ৪ জুন ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।