নিজে নিজের অভিজাত প্রদর্শনে হায় ! বিচিত্র
এ দুনিয়ায় কতজনে কত কিছুই না করে !
দামী গাড়ি বাড়ি নারীতে শান শওকতে তারা
সব সাজানো গোছানো রাখেও থরে থরে !

হোক যত দামী কত ভূস্বামী, কিনে খাক দূর্লভ
পশুপাখির মাংস কিবা নদীর বিশাল মাছ ।
তবে বলছি আমি, সে কোন জাতেরই নয় যার
বাড়িতে থাকে না অন্তত শতবর্ষী কোন গাছ !

কারণ, অর্থাভাবে কিংবা জ্ঞানের অভাবে তারা
সবার আগেই করে ঐসব বৃক্ষরাজি নিধন ।
সে মহামূর্খ না হলে, বা না পড়লে দারিদ্রতার
কবলে অমন বৃক্ষ করে নিধন, থাকলে ধন ?  

বা না থাকে নিম-বট-অশ্বত্থ, বনজ ফলদ কিবা
ফুল পাতাবাহারের রকমারি গাছের সমাহার ।
তবে কিবা লাভ খুঁজে, সবাইকে সর্বদা প্রদর্শনে
তাহার রাজসিক তামসিক ঐ সকল আহার ?

কোন গাছে লতাপাতায় ফুল ফলে কল্যাণকর
কি কি উপাদান ? যদি না থাকে সেই জ্ঞান !
তবে কেনইবা এরা আধুনিকতার দোহাই দিয়ে
সর্বত্রই খুঁজে ফেরে শুধু বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ?

থাকে তো নিষ্প্রাণ নগরে, যেন প্রকাণ্ড ভাগাড়ে
নিজেকে বন্দী করে কংক্রিটের বদ্ধ খাঁচায় !
যা অতি সুরম্য করে বানাতে গিয়ে তাদেরকেই
করছে উজার যারা এদের নিঃস্বার্থে বাঁচায় !

অবুঝের বুঝার সাধ্য নাই, সবুজের সমারোহে
যে লুকিয়ে থাকে দুনিয়াতেও কত স্বর্গ সুখ !
কিন্তু তারা সবুজ শ্যামল এই ধরা ধ্বংস করে
স্বীয় বংশের তরে কিনছে যত অসুখ বিসুখ !!

রচনাকালঃ- দুপুর ২:১৭টা, রবিবার,  ৯ আষাঢ় ১৪৩১,
২৩ জুন ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।