দেশ-বিদেশ ঘুরে দেখেছি কত শত রূপসী রাজকন্যা
আমার বাহুডরে এসে যারা হতে চেয়েছিল প্রেমধন্যা
আমি তাতে দেইনি সায়, কিন্তু হায় ! কি মায়ায় মুগ্ধ
করে এক কাঠুরের কন্যা, রূপে গুনে যে ছিল অনন্যা !
আর পাঁচটি নারীর মতো যেনতেন এক নারী সে নয়
দেখে বিস্মিতও হয়েছিলাম রমনী এতোই অনন্যা হয়
তার সান্নিধ্য লাভে দুনিয়াতেই পেয়েছিলাম স্বর্গ সুখ
ভুলে যত অসুখ জীবনটা হলো যেন সঞ্জীবনী সুধাময় !
বাবা যে তার ভয়ানক একরোখা জেদি এক কাঠুরে
মেয়েও যেন তেমন বাপকা বেটি আদর্শিক কোঠরে
তবে ভুলেও ভাবিনি একরাতে সব জল্পনা কল্পনার
ঘটবে অবসান গুড়েবালি দেবে আরেক নাদান কাঠুরে ।
যাকে দেখা মাত্র আমার মন দিল গাত্র করল আপন
এ জীবনও রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করল যার প্রয়োজন
তাকে হারিয়ে যেন হয়েছি বিকলাঙ্গ তাই নিথরভাবে
দেখছি শুধু নিঃশেষ হতে জীবনটার সব আয়োজন ।
রূপে গুনে অনন্যা ওগো কাঠুরে কন্যা কে গো তুমি
হঠাৎ এসে স্বর্গদ্যোন করলে আমার খা খা মরুভূমি
মরীচিকা হয়ে কোথায় যে মিলিয়ে গেলে আবারও
মরুভূমি করে, এই হতভাগার পোড়া কপালটা চুমি !
রচনাকালঃ- দুপুর ২:২৬টা, বুধবার, ২৫ মাঘ ১৪২৯,
৮ ফেব্রুয়ারি ১৪২৯,মিরপুর, ঢাকা ।