আর কতগুলো গুলি আছে রে তোর
    চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
       মিটিয়ে দে রে চিরতরে মোর
ভাই হারানোর জ্বালা...
    চালা, এ বুকে গুলি চালা ।        
এতো রক্তের উত্তাল সাগরে আমি
আর পারি না দিতে সাঁতার ।
আর সইতেও পারি না এতো কান্না
ঐসব দূর্ভাগা পিতামাতার...
যে কান্না শুনে হৃদয় হয় ফালাফালা  
     চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
যেই ছাত্র জনতারা রক্ত দিয়ে এনে
দিয়েছিল মোদের মুখের ভাষা ।
এনেছিল একটি স্বাধীন দেশ, ছিল
কি তাদের এটাই দেখার আশা ?
তুইও দেখালিরে রক্তের কারবালা ?
       চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
এতোটুকুন ন্যায্য অধিকার আদায়ে
যদি দিতেে হয় হাজারও প্রাণ ।
তবে কেন জ্বলবে না রে প্রতিশোধের
আগুন হয়ে শিখা অনির্বাণ ?
এতো প্রাণের বিনিময়ে কি দিবি শালা ?
       চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
দুইশত বছর রক্ত ঢেলেছি বৃটিশদের
বেদীতে, থেকে পরাধীন ।
পাকিস্তানও করল তাই তবু কেন রক্ত
ঝরাই দেশটা করে স্বাধীন ?
এবার যখন তোকে রক্ত দেবার পালা
       চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
রক্ত স্নাত হয়েই তুই ক্লিওপেট্রা সেজে  
লাভ করে নে অমরত্ব ।
তরুণের রক্ত পানে অঙ্গে যৌবন এনে
অনন্তকাল করে যা রাজত্ব !
তাই যেহেতু বিদ্রোহে মোর মন উতালা
       চালা, এ বুকে গুলি চালা ।
           মিটিয়ে দে রে চিরতরে মোর  
ভাই হারানো জ্বালা ।।

রচনাকালঃ- দুপুর ২:৪০টা, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১,
২৬ জুলাই ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।