রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে ভোটবিহীন সরকার
তাও আবার একদম সীমাহীন স্বৈরাচার
দেশটা লুটেপুটে তারা করেছে ছারখার
চারিদিকে এখন শুধুই অভাবে হাহাকার ।
ব্যবসা বাণিজ্য নাই অর্থনৈতিক মন্দায়
কবি পারে না চলতে অন্য কোন ধান্দায়
ঋণ জর্জরিত কবির যে ঘরে থাকা দায়
বহুদিন চোখ পড়েনা কবিতারও পাতায় ।
এরই মাঝে কবি লিখতে চাইছে কবিতা
কি আর লিখবে ঘরের অবস্থা তো যা তা
ক্ষুধার রাজ্যে অট্টহাসে পাখি ফুল পাতা
দিনের পর দিন যায় রয়ে যায় শুন্য খাতা ।
কবি লিখে আহা কি সুজলা সুফলা দেশ !
গিন্নি বলে আজকেই ঘরের খাবার শেষ ।
কবি ভাবে দেশের উড়বো বিজয় কেতন
সন্তান বলে কালই লাগবে স্কুলের বেতন ।
কবি চাইছে অন্যায়ের গড়তে প্রতিরোধ
মা বলে বাবারে আমার ফুরালো ঔষধ ।
বইমেলায় বই প্রকাশে কবি করে তাড়া
নোটিশ এলো বাড়ি ছাড় না দিলে ভাড়া ।
কবি বুঝেনি যে দেশেতে হয় গুণ্ডা পালন
সে দেশে কি হবে এ প্রতিভা করে লালন ?
হয়তো হবে সবকিছু যদি ছাড়ে সে মসি
নেতা কর্তা সবই হবে হাতে নিলেই অসি ।
নিমিষেই ঘুচবেও তার অভাব অভিযোগ
সব ফেলে সরকারি দলেই দিলে যোগ ।
কিন্তু কবি যে করবে না তাতে মাথা নত
দুর্যোগ দুর্বিপাক তার বাড়ে বাড়ুক যত ।
কবি ভাবে আমি না হয় হলাম কিছু ঋণ
কিন্তু শহীদদের রক্ত ঋণ তো তুলনাহীন !
কে বলবে, আমি যদি না বলি সেই কথা ?
তবে তো বিলুপ্ত হবে সব সামাজিক প্রথা ।
রচনাকালঃ- দুপুর - ১২:২৪টা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২ জুলাই ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।