নিয়মিত দিয়ে নর বলি, তার রক্তে খেলে হোলি
যে রক্ত পিপাসু দেবীকে করতে হয় ক্ষান্ত ।
কাঁটাতারে পত পত করে উড়ে ফেলানির দেহের
নির্মিত নিশানে স্বাগত জানায় যার সীমান্ত ।
সন্তান হারা মাবাবা, স্বামী হারা স্ত্রী, বাপ হারানো
সন্তান যে দিকে তাকিয়ে ফেলে চোখের পানি ।
আবার এক মিথ্যা আশ্বাসে পূর্ব পরিকল্পিত সুক্ষ্ম
আগ্রাসন বাসনায় দেয় সে বন্ধুত্ব গড়ার হাতছানি ।
দিস্তায় দিস্তায় দরখাস্ত করেও যখন মেলেনি ঐ
তিস্তার পানি, কিন্তু ভাসায় মাদকের বন্যায় ।
সব কিছুতেই আমাদের করে রাখছে পেরেশানি
ভয় নেই তখন এসব বলে হলে হোক অন্যায় !
সার্বভৌমত্ব নসাৎ, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মহল
নিয়ন্ত্রণে অপতৎপরতা, ব্যপক বাণিজ্য ঘাটতি ।
স্বদেশী পন্য হলেও অনন্য কর্পোরেট সিণ্ডিকেটের
দুর্বৃত্তায়নে তারও হতে দেয় না ভালো কাটতি ।
ধর্ম সংস্কৃতি রীতিনীতিতেও যার আধিপত্য প্রকট
এবং কৌশলে সবকিছুতে সৃষ্টি করে বিভাজন ।
তার সাথে আর কিসের সখ্যতা, কিসেরই সম্পর্ক,
কিসের জন্যই বা বন্ধুত্ব গড়ার এতো প্রয়োজন ?
মহান স্বাধীনতাকে তার অধীনতায় দাসত্ব করার
দাসখত দেবে কেন স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি ?
এজন্যেই কি পাক ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের
প্রস্তুত করছিল আরেক দৈত্যকে করতে ভক্তি ?
কেনরে ভাই তোদের এতো খায়েশ একটা জাতির
অস্তিত্ব করতে বিলীন, তাদের রাখতে পরাধীন ?
যখন তোমার নিজেরই নাই বাঁচার নিশ্চয়তা মাত্র
একদিন, যখন স্বীয় স্ত্রী সন্তানই থাকে না অধীন ?
রচনাকালঃ- বিকাল ৫:২৮টা, মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জুলাই ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।