আচ্ছা দাদা - বলতো তুমি ঠিক
বাঁচবেই বা আর কতদিন ?
কেন তবে এতো ষড়যন্ত্র আঁটো
মোদের করে রাখতে পরাধীন ?
স্বীয় সন্তানই বাপের ধন সম্পদ
কেড়ে যখন পাঠায় বৃদ্ধাশ্রমে..
তবে আর কার জন্যই বা আস্ত
এ দেশটা গিলছ ক্রমে ক্রমে ?
ও বুঝেছি, তোমার ঐ অকৃতজ্ঞ
জাতিটাকে করাতে চাও শ্রেষ্ঠ ?
আরে হিংসুক দাদা প্রথমে তো
তুমিই হবে তাদেরই পদপৃষ্ঠ !
একটি নিরপরাধ জাতির সর্বস্ব
কেড়ে চাও স্বজাতিটা গড়তে ?
তবে কি নিজ পায়ে কুঠারাঘাত
করে চাও নিজে নিজেই মরতে ?
শুনোনি, ওই মীরজাফর গংদের  
কিভাবে হয়েছে অভিসম্পাত ?
এই উপমহাদেশ বিজেতা সেই
লর্ড ক্লাইভও করলো প্রাণপাত !
এ যাবত পৃথিবীতে যারা করল
ভিনদেশে আধিপত্য বিস্তার ।
হেন আগ্রাসী কর্মের অভিশাপে
কেউ পেয়েছে কি কভু নিস্তার ?
স্রস্টার সৃষ্টি একজনার অভিশাপ
তুমি তো বইতে কভু পারবেনা ।
সেথা কোটি মানুষের অভিশাপ  
যে চৌদ্দগুষ্ঠির পিছু ছাড়বেনা !
এই অসদুপায় অবলম্বনে দাদা
উল্টো স্বজাতিই হবে অভিশপ্ত !
পাছে মোদেরই যুদ্ধবন্দী দাসত্ব
বরণে হবে যে চরম অনুতপ্ত !
জাতির জন্য এতো জঘন্য কাজ
করে তোমার কিসে ফায়দা ?  
তিলে তিলে গড়া মোদের দেশ
জাতি ধ্বংসে কর নারে কায়দা ।
স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিয়ে করতে
দাও মোদের সব কিছুর বিকাশ ।
আজই তবে গুটিয়ে যাও মিটিয়ে
দিয়ে মোদের সব হিসাব নিকাশ ।
নয়তো ইটটি ছুড়লে পাটকেলটা
যখন পড়বে গো তোমার গায় ।
তখন সকল কিছুই হারিয়ে দাদা
পথে বসে করবে রে হায় হায় !
তাছাড়া স্রস্টার সৃষ্টিটাকে তোমরা
এভাবে করতে চাও যে ধ্বংস ।
ইতিহাসে দেখোনি কেমনে ধ্বংস
করেছে তাদের সমস্ত গুষ্টি বংশ !
ওরে- কিংশুক নাম্নী হিংসুক দাদা
ছাড়ো না এসব হিংসুটে প্রবণতা ।
এ মানব জন্মটাকে স্বার্থক করতে
শুধু দেখিয়ে যাও যত মানবতা ।

রচনাকালঃ- রাত১১:৩৯টা, রবিবার, ১২ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ২৬ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।