পশুপাখিরা নিত্যই ক্ষুধা মিটায় কত
বিস্বাদপূর্ণ খাদ্য পানীয় ভক্ষণে ।
তাদের সেই ভাবনাও নাই আগামী
দিনের জন্য সে সবের সংরক্ষণে ।
একই রকম খাদ্য পানীয় নিত্যদিন
ওরা খায় যখন যতটুকু পায় ।
পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে পশু-
পাখিরা চলেও একই ব্যবস্থাপনায় ।
তেমনি একই ব্যবস্থাপনায় ফেরেস্তা
কূলকে চালায় প্রভু তার ইচ্ছাতে ।
কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা হেতু, তারা
চলবে তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছাতে ।
তাদের চলাফেরা ও খানাপিনায় যেন
না হয় তেমন কোন জটিলাবস্থা ।
তাই স্বাদ গন্ধ রূপ রঙ সৌন্দর্যে প্রভু
সাজিয়ে রেখেছে সেই সুব্যবস্থা ।
তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির কিছুতে না হয় যেন
অসুবিধা রেখেছে সে আয়োজন ।
আমরা অকৃতজ্ঞ মানুষেরা ধ্যানমগ্নে
সেসব কথা ভাবিই বা ক'জন ?
বরং বলি চরম ঔদ্ধত্যপণার সাথে কে
বলেছে স্রস্টা আছে ? না স্রস্টা নেই ।
কিন্তু নির্বোধ মানুষ স্বাধীনতা পেয়ে যে
তুমি প্রথম অস্বীকার কর স্রষ্টাকেই ?
তার প্রতিটি সৃষ্টিই তো তোমার জন্যই
শুধু তোমারই দাস রূপে খেদমতে ।
আর তুমি মানুষ হারিয়ে জ্ঞান হুঁশ চল
সেই দয়াময় প্রভুর বিরুদ্ধ মতে ?
ঐ পশুপাখি কিবা ফেরেস্তাগন সর্বক্ষণ
তবু যদি ন্যস্ত রয় তার হুকুম পালনে ।
তবে কেন তুমি সৃষ্টির সর্বসেরা হয়েও
ব্যর্থ সেই প্রভুর চেতনা লালনে ?
অথচ কত চেতনার দাস হয়ে তুমি যে
বিলীন করছো এই অমূল্য জীবন ।
অবাধ স্বাধীনতা পেয়েই কি তুমি এমন
অকৃতজ্ঞ বনে ত্যাগ করবে ভুবন ?
আরে এটা ছিল তোমার পরীক্ষা কেন্দ্র
আর ঐ স্বাধীনতাই ছিল তো পরীক্ষা ।
যার ফলাফল পেতে অন্ধকার কবরেই
শুয়ে অনন্তকাল করবে অপেক্ষা ।।
রচনাকালঃ- রাত ৮:৪৭টা, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩১,
২ আগষ্ট ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।