তর তর করে দেশটাকে এগিয়ে যেতে দেখে
ঐ লোভাতুর হায়নারা শুরু করে দিয়েছিল
চরম চেঁচামেচি চিৎকার ।
ওরা লগি বৈঠার তাণ্ডবে দেশটাকে জ্বালিয়ে
পুড়িয়েও করেছিল ছারখার ।
তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনের
দাবীতে তারা সব শয়তানেরা
মিলে মিশে হয়েছিলে একাকার ।
তাদের মন পছন্দের ব্যক্তিবর্গের সহায়তায়
অতঃপর বারবার গড়লো অবৈধ সরকার ।
যার চৌকিদার হবার যোগতা ছিল না, ছিল
চোর বাটপার; সেও দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে
কেড়ে নিল জনতার অধিকার ।
দেড় যুগ ধরে তারা যে যা চেয়েছে যত ইচ্ছে
মতো করেছে লুটপাট আর দমন পীড়নে
হয়ে উঠেছিল দৈত্যাকার...
একে তো গড়ল অবৈধ সরকার তদুপরি এরে
ধরে ওরে মারে জুলুম, নির্যাতন, গুম, হত্যা,
ধর্ষণসহ করেছে লুটতরাজের কারবার ।
এমন সভ্যযুগেও মধ্যযুগের অবতারণা করে
দেশ সমাজের পরিস্থিতিকে তারা
বানিয়ে দিল কিম্ভূতকিমাকার ।
যেমনি দেশের সম্পদসহ নারী ও শিশু করেছে
পাচার তেমনি মিথ্যাচার অনাচার ব্যভিচারসহ
করেছেও হাজার হাজার মানুষ ম্যাসাকার ।
দেশটা কেউ ভাবতো বাপদাদার কেউ ভাবতো
ইজারাদার, দেশজনতা দেখলও ওদের কত
প্রকার হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা আর অহংকার ।
ব্যাংক বীমা জমিজমা খালবিল নদীনালা কল-
কারখানা লুটেপুটে দেশে ঘরে ঘরে
এনে দিয়েছে হা পিত্যেশ হাহাকার !
কত সোনার সংসার কত সফল জীবন কত যে
সুন্দর কৃষ্টি কালচার অসাম্প্রদায়িক মনোভাব
পরস্পরের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ভেঙে চুরমার !
দেশে চাকরি নেই বাকরি নেই, ঐ সিণ্ডিকেটের
দাপটে ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্যেরও সুযোগ
বিনা বাড়ছে দিনদিনে বেকার ।
তদুপরি নাই সুশাসন নাই সুবিচার যেন দেশটা
একটা মগের মুল্লুক বনে গিয়ে
আজ অনিয়ন্ত্রিত যেন নিত্যকার ।
দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীটাকে বাঁচাতে আজই
এই মুহুর্তেই এই অন্যায় অনিয়মের
অবসান ঘটানো বড্ড বেশী দরকার ।।
রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৬:৩৪টা, রবিবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩১,
৪ আগষ্ট ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।