জ্ঞাতী ভাই সুজনের সাথে স্বজনেরা
সাথীকে ধুমধাম করে দিল বিয়ে ।
কত আশা আকাঙ্খা উচ্ছ্বাস প্রকাশ
করল তারা নবদম্পতিকেও নিয়ে ।
আর পাঁচটি পরিবারের মত তারাও
সংসার জীবন করতে গেলে শুরু ।
লোভে হিংসায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে
প্রতিবেশী এক সন্যাসী বেশী গুরু ।
সংসার মানেই টুকটাক ঝগড়াঝাটি
লেগে থাকে প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে ।
গুরু তখনই দুরভিসন্ধি করল শুরু
সেই স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার সুত্র ধরে ।
তিলকে তাল বানিয়ে কামাল করল
গুরু ষড়যন্ত্রে ষোলোকলা করে পূর্ণ ।
স্বগোত্রীয় সুজন সাথীর সুখীসংসার
অবশেষে ভেঙে করে দিল চূর্ণবিচূর্ণ ।
দুই পরিবারে ঢুকিয়ে দিল যত বিদ্বেষ
ঘৃণার বীজ, মুখ দেখাদেখিও হল বন্ধ ।
সেই সাথে সাথীকে অধিকার সচেতন
করে গুরুর চেতনায় করে তুলল অন্ধ ।
কুবাসনা চরিতার্থে গুরু তাকে যখন
করতে পারে না বিয়ে সমাজের ভয়ে ।
তখন সাথীর যৌবন জ্বালা নিবারণে
তাকে নানান যুক্তি দেখায় সে সময়ে ।
স্বামীহীনা পূর্ণযৌবনবতী সেই নারীর
আবেগ মন্থনে তাকে বানিয়ে আগ্রাসী ।
ভণ্ড গুরু লুটে নিল তার ইজ্জত আব্রু
মহৎ কর্মের অন্তরালে গড়ে দেবদাসী ।
রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৬টা, বুধবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০, ২২ নভেম্বর ২০২৩, মিরপুর, ঢাকা ।