সোনার চেয়েও খাঁটি, আহ্ আজ মুক্ত আমার মা মাটি
মুক্ত আকাশ বাতাস ফিরেও পেলাম আত্মবিশ্বাস !
মুক্ত প্রাণে প্রাণ ভরে তাই আজ নিচ্ছি ভাই এ মাটির
সোঁদা গন্ধের শ্বাস, ফেলছি স্বস্তির নিশ্বাস ।
না না, তোমায় ছেড়ে কোথাও তো যাইনি মাগো
সয়ে শত জুলুম শোষণ নির্যাতন ।
আমরা যে তোমার কোটি সন্তান প্রাণ করে কুরবান
হটিয়ে দিলাম দস্যুদের দখলদারিত্ব-আগ্রাসন ।
তুমি সন্তান হারাবার শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে
এমন সন্তানের তরে বুক ফুলে কর গর্ব ।
তোমার সকল দুঃখ বেদনা ক্ষত মুছে দেবো অচিরেই
আমরা যে প্রবল প্রত্যয়ী মোটে নই অকর্মণ্য অথর্ব ।
স্বর্ণগর্ভা সোনার বাংলা মাগো তোমার সকল সোনার
সন্তানরা এখন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সদা জাগ্রতই রবে ।
আর কোন অপশক্তি কভু যেন তোমায় গ্রাস করতে
উদ্যত না হয় তবে ।
আর কোন ঐ চেতনা রূপী শয়তানের ফেতনা শুনতে
আমরা করবো না কর্ণপাত ।
বাতিলের সকল মন্ত্র-ষড়যন্ত্র এদেশ হতে খুঁটে খুঁটে
আমরা করবো সবই নিপাত ।
তোমার এ মাটিতে জন্মাতে দেবোনা কোন আগাছা
ভিনদেশী কৃষ্টি কালচারের নামে ।
যার জন্যই বিকানো এদেশটাকে বারবার কিনেছি
আমরা তরুণের তাজা রক্তের দামে ।
আমাদের সমৃদ্ধ স্বকীয়তায় হবো স্বনির্ভর পরনির্ভর
থাকার দিন হল শেষ ।
রক্ত ঝরিয়ে যখন আবারও এদেশ কিনলাম, তখন
আপত্তি কিসে ঘাম ঝরিয়ে গড়বো তার পরিবেশ ।
গড়বো অচিরেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ।।
রচনাকালঃ- রাত ৮:৫৫টা, শুক্রবার, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১,
৩০ আগষ্ট ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।