আধুনিকতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে মানুষ সভ্য
না হয়ে হচ্ছে কি চরম উন্মাদ ?
নয়তো শিক্ষা দীক্ষায় এতো উন্নত হওয়া সত্বেও
কেন মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠছে বর্ণবাদ ?
বজ্রনিনাদ করছে নিজের জাত ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে
আর অপরকে করছে তীব্র তিরস্কার ।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগেও কোন মুর্খরা এই
জঘন্য কর্মটি করেনি দিলেও পুরস্কার ।
কোন জাত ধর্মের মানুষকে ঘৃণা ভরে অবজ্ঞা করা
আছে কি আর বিন্দুমাত্র অবকাশ ?
এমন কোন মানুষ আছে যার ভিন্ন ধর্মীয় মানুষের
সহযোগিতা ছাড়া করেছে নিজের বিকাশ ?
এই সভ্যতাটা এখন যেখানে দাঁড়িয়েছে তিল তিল
করে আছে সকল ধর্ম বর্ণের অবদান ।
সব জাতির সেসব অবদান অস্বীকার করে অসম্ভব
বাঁচিয়ে রাখা কোন মানুষের প্রাণ ।
কারো অবদান ছাড়া নির্মাণ যখন হয়নি এ সভ্যতা
তবে কেন আজও বর্ণবাদের বর্বরতা ?
বর্ণ বিদ্বেষী ওরে মূঢ়, হিম্মত আছে তো দেখাও না
তোমার জাতবিনা না করে কারো উপর নির্ভরতা ।
যদি একটি মুহুর্তও না থাকে তার সক্ষমতা, আজই
তবে মন থেকে এই ঘৃণা বিদ্বেষ কর পরিহার ।
নচেৎ অচিরেই তোমার সব দর্প চূর্ণ হবে, অনুভবে
বালখিল্যই রবে নিরুপায় করজোড়ে মানবে হার ।
রচনাকাল- রাত ১.৩৩l রাত১.৩৩টা, বুধবার, ১২ মাঘ ১৪২৮, ২৬ ২০২২। মিরপুর, ঢাকা ।