আগে কভু ভাবিনি আমিও যে এই ভবে এক পরিযায়ী
আজ ভাবছি হেথায় আমি হয়েছিও দুই গুরুদণ্ডে দায়ী !
একে তো নিজেকে গড়তে পারিনি পুরো সত্যের উপরে
তাই আমার নীতি নৈতিকতা দেখেও বদলায়নি অপরে ।
বরং আমার উন্নাসিকতায় অন্যরা আরও গিয়েছে বখে
তবুও কত পাপ করছি শুধু আমার অবাধ্য মনের শখে ।
আবার আমিই নিয়ন্ত্রণও করতে চাই পুরো পৃথিবীটাকে
অথচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি আজও নিজেরই নফসটাকে ।
আমি পরিযায়ী বলে একদিন ফিরতেই হবে নিজ ভুবনে
জানি না কি নিয়ে ফিরবো সেথায় সেই ফেরার দিনে...
কেন এলাম কি নিয়েই বা যাবো ? গিয়েছি বিলকুল ভুলে
সময় শুধু পার করেছি ভেবে আমার জন্ম শ্রেষ্ঠ জাত কূলে ।
নিজেকেও শ্রেষ্ঠ বলে চোখে রঙিন চশমা এঁটে দিয়েছিলাম
কিন্তু অন্তর চক্ষু মেলে দেখিনি কত যে ভুলে ডুবেছিলাম ।
আমি তো চক্ষুষ্মান অন্ধ বোধের জানালাও রেখেছিলাম বন্ধ
শিক্ষিতের দাবী করছি পাঠে কোন খেয়ালি চেতনার প্রবন্ধ ।
যা ছিল মনগড়া ভুলে ভরা আর তাই নিয়ে করছি গোঁড়ামি
আবার মানুষ বলে করি গর্ব আজ বুঝি কত না অথর্ব আমি !
রচনাকালঃ- সন্ধ্যা ৭:১৮টা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।