ওহে বুলবুল মসজিদেরই পাশে তুমি
ঘুমিয়ে আছো চির শান্তিতে...
আর তুমিবিহীন আমরা কাটাচ্ছি দিন
বড় অশান্তিতে গো অশান্তিতে !
শাসক ও শোষকের সম্মিলনে চলছে
যখন দুঃশাসন আর রক্ত শোষণ ।
তরুণ নজরুলের করুণ বৃদ্ধ সমাজ
এখন করছে ওদের উষ্ণ তোষণ ।
অগ্নিবীণার তার কেটেছে স্বদেশেরই
সব মুনাফেক আর ইদুর বাঁদর ।
কারার ঐ লৌহকপাট আগলে রেখে
এরা আজ উন্মুখ পেতে রাজ কদর !
দূর্গমগিরি কান্তার মরু পার করবার
নেই তো আর সেই কাণ্ডারী ।
আছে তোমার ঝাকড়া চুলের বাবরি
দোলানো কত ভণ্ড দয়াল ভাণ্ডারী !
অতটুকু কর্মজীবনেই তুমি যে রেখে
গেলে বিশাল রত্ব রাজির ধনাগার ।
তূর্যধ্বনি দিয়ে কাক শকুনরা করেছে
সেটাও উদরপূর্তির ময়লার ভাগাড় !
চল চল বলে এই ধরণী তল রাখবে
কে বল তারুণ্য দীপ্ত প্রাণচঞ্চল ?
জালেমের কালো হাত গুড়িয়ে দিতে
কে গড়বে বিদ্রোহী ঐ মজলুমদল ?
খোদার শানে কে গাইবে গজল দূর
করিতে এই অমানিশার অন্ধকার ?
চুরুলিয়ার হে মহাত্মা- দ্রোহ-প্রেমের
নজির রাখার এই হিম্মত আছে কার ?
রচনাকালঃ- রাত ১০:১২ট, শনিবার, ১১ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ২৫ মে ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।