দেশে কাজ নাই কর্ম নাই ব্যবসা বাণিজ্য নাই
শুধু নাই নাই আওয়াজে চারদিক হাহাকার ।
নতুনদের চাকরি তো নাই নাই, হাই অফিয়াল
চাকুরেরাও ইদানীং বেশীরভাগ হচ্ছে বেকার ।
চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে বেকার হয়ে সে কিবা করবে
আর সংসার যে তার মুমূর্ষু রোগীর মতো ।
হাসপাতালে রোগী ভর্তি রেখে গরীব অসহায়
লোকেরা যেমন ধারকর্জ করতে হয় উদ্ভ্রান্ত ।
চাল ডাল কিনে তো জ্বালানির জন্য জ্বলছে না
চুলা, এক দাদা ধার দেবে বলে দেখাল মুলা !
চুলা জ্বালাতে না জ্বালাতে বিদ্যুৎ, পানি লাইন
বন্ধ করল ভাড়া বাড়ির নিষ্ঠুর বাড়িওয়ালা ।
এদিকে সম্তানরা কেঁদে বলে বকেয়া বেতন না
করলে শোধ তাদের দিতে দেবে না পরীক্ষা ।
বেকাররা ভাবে এ কোন পরীক্ষায় ফেলে তাকে
বিধাতা দিচ্ছে যে আসলে কিসের শিক্ষা ?
নিজের নিয়ন্ত্রণই যেখানে হারাবার দশা সেথায়
হাল ফ্যাশনে চলা স্ত্রী সন্তান নিয়ে সে বেহাল ।
ওরা ধর্মেকর্মে অমন বিশ্বাসী নয় বলে মানে না
রিজিকের ফয়সালা তাই হয় আরও নাজেহাল ।
বেচারা না পারে পূর্বাবস্থায় থাকতে বহাল কিংবা
না পারে নীচু অবস্থানে নেমে আর কিছু করতে ।
না পারছে ঘরসংসার ফেলে যেতে কোথাও আর
না পারছে সন্তান সন্ততির রেখে ডুবে মরতে ।
সরকার তার সিংহাসন সহজে যখন ফিরে পায়
বারবার তখন এসব নিয়ে ভাবার কি দরকার ?
সকল বেকারও ভাবে তাই হয় তার রিজিক নাই
নাহয় ঘাটতি আছে যোগ্যতার, কি করবে আর !
একেকটি সংসার এমনিভাবে পুড়ে হয় ছারখার
যেন ভাবার আর কারো নেই কোন অবকাশ ।
দিন দিন সব নিয়ন্ত্রণহীন হলে এদেশে অবশেষে
সুস্থ চেতনা সংস্কৃতিরও কিভাবে বা হবে বিকাশ ?
রচনাকালঃ- দুপুর ২:০৭টা, মঙ্গলবার, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১,
৯ জুলাই ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা।