স্বীয় সৌন্দর্য রূপ লাবন্য দর্শনে
ইস্ ! কি দারুণ পুরুষ আকর্ষণে
আরে আমি যে দেখতে রাজকন্যা
ভরা যৌবনে বইছে রূপের বন্যা
এমন আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেই দূর করলে হীনমন্যতা !
অতিআত্মবিশ্বাসী হওয়ায় এলো উগ্রসম্ভোগ মানসিকতা ।

চকচকে পেলব দেহের সেই ত্বকে
দ্যুতি ছড়িয়ে জ্বলেও যে ঝকমকে
গোলাপেরই পাপড়ি সদৃশ ওষ্ঠদ্বয়
হরিণী চক্ষুদ্বয় কত কথাই না কয়
মনে হয় রূপের ছোঁয়ায় চারদিক ছড়াও দারুণ স্নিগ্ধতা !
দর্পণে স্বরূপ দর্শনে মনে প্রাণেও পেলে দারুণ মুগ্ধতা ।

সেই দেহ বল্লরী নিয়েই হলে ব্যস্ত
রূপের প্রশংসাকারীতে হলে ন্যস্ত
তাতে বাধা দিলে ধর্ম আর সমাজ
তুমি তুললে স্বাধীনতার আওয়াজ
নারী অধিকার কর্মী সেজে চাইলে যে অবাধ স্বাধীনতা ।
মানুষ হয়ে কেন মানবে হে আরেক মানুষের অধিনতা ?

তোমাকে বাধা দেবার পেলো ভয
অবশেষে তোমারই যে হলো জয়
যার সাথেই চাও হেথা হোথা যাও
যেন স্বর্গ সুখে সুখী জীবন কাটাও
মৌমাছিদের ন্যায় মক্ষীরানি বনে সবারই হলে মধুমিতা ।
মধুসেবী সব দেবদেবী তোমার নামও দিল বারোবনিতা ।

ভাবলে রূপ আছে করবো কামাই
কেন আবার গলে ঝুলাবো জামাই
যেখানে শত পুরুষ পকেটেই রাখি
যখন যার সনে করবো মাখামাখি
নিষিদ্ধ কর্মে সবার মতো তুমিও সহজে পেলে সফলতা ।
আসলে যে যা চায় তাকে দুনিয়ায় তাইতো দেন বিধাতা ।

এছাড়া একজনাতে তুমি নও খুশি
বহুগামীতা লাভে রাখ লোভ পুষি
কর গর্ব পুরুষদের বিছানায় এনে
ঘৃণাও ধরেনা ওরা কাপুরুষ জেনে
আরে পুরুষ রয় প্রভুর ধ্যানে দেখে না তোমার ভণিতা ।
স্রস্টা যার দেয়নি রূপ সে দেখায়নি এরূপ কূপমন্ডুকতা ।

শেষ হলে যৌবনের ঐ রস মঞ্জুরী
লোক সকল ডাকতে লাগলো বুড়ী
তোমার কুকর্ম ও উদ্ভট সাজসজ্জা
সমাজকে দিয়েছিলে কষ্ট ও লজ্জা  
আজ তোমার নেই ঠিকানা ঘর সংসার আর সামাজিকতা ।  
প্রকৃতি নিলো বুঝি প্রতিশোধ মানোনি যার প্রয়োজনীয়তা !

রচনাকালঃ- রাত ১২:৫৬টা, রবিবার, ২৬ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ৯ জুন ২০২৪, মিরপুর, ঢাকা ।